বুধবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৮

বরং ভাবো- বেঁচেছো তুমি

ফুলের ভাঁজে ভাঁজে ঘুরে বেড়ায় দুষ্ট ভ্রমর,
অঙ্গে অঙ্গে, ঢঙ্গে ঢঙ্গে, রঙ্গ করে ঢের!
প্রেমের ছলে, কৌশলে কৌশলে, মধুবন উজাড় করে উড়াল মারে অন্য ফুলে,
অপরিপক্ক বোধনে আমোদিত ফুল আবেগে বলে- এসো কিন্তু ফের ।
ভ্রমর আর ফেরেনা! আর ফেরে না!
পূর্ব ইতিহাস গোপন করে- নতুন ফুলে ঠোট ছোঁয়ায় পাক্কা সেয়ানা!
দুঃসংবাদ ভেসে যায় বাতাসে বিরামহীন বেগে-
শুনে কুমারিত্ব হারানো ফুল যায় রেগে,
দুঃখ করে বলে, এ জীবন রেখে কি লাভ- বিষ খোঁজে, 
অনিয়ন্ত্রিত আবেগ জীবনের মানে- না বোঝে, না বোঝে!

আরে বোকা ফুল! কার জন্য আকুল? কার জন্য করতে চাও আত্মহনন?
চরিত্রহীন, প্রতারক, লোভীর জন্য- চাও নিজের মরন? 
বরং ভাবো- বেঁচেছো তুমি ।
বড় বাঁচা বেঁচেছো তুমি ।
দূর্ঘটনা মানতে শেখো, সৌরভ ছড়াও, বিশ্বাস রাখো- ফুল তুমি এখনও আছো ফুল,
নিজেকে গড়ো, ভালোবাসো, স্বপ্ন সাজাও, ভুলে যাও অতীত ভুল ।

এই মন চায়

মন চায়, এই মন চায়, 
দিগন্তজোড়া ঐ নিলীমায়-
চোখে চোখ রেখে দুজনে,
হারিয়ে যাই ভালোবাসায় ।।

এসো উড়ি ডানায় ডানায় মেঘে-
উড়িয়ে ইচ্ছেঘুড়ি তুমি আমি,
এসো বেড়াই ভেসে ভেসে বাতাসে-
যাই সুখের বাড়ি তুমি আমি।
জীবনের বাকি দিনগুলো দুজনে-
কাটাই আনন্দধারায় ।।

এসো গড়ি সীমানাহীন 
একটি ভালোবাসার আকাশ,
এসো গড়ি রাজা রানীর মত
প্রেমের প্রিয় আবাস ।
দাও সাড়া হে নীলাঞ্জনা- 
তোমার দুচোখে আমার স্বপ্ন দেখা যায় ।।

কবিকেও হতে হবে নেতা!

ইতিহাস বলে-
কবি না থাকলে রাজসভা কি করে চলে?
চলে না ! শুরু থেকে সভ্যতার বিকাশে-
কবিগনের ভুমিকা ধনাত্মক প্রকাশে ।
অন্দরমহল থেকে রাজসভা পর্যন্ত- 
কবিদের বিচরন থাকতে হয় আপোষহীন পদযাত্রায় ।
                       থাকতে হয় মানবিক চেতনার মশাল হাতে ।
থাকতে হয় জাগ্রত জনতার কল্যাণে কবিতার খাতায়-
                    নিয়ত শুভ সূর্যোদয়ের প্রয়াসে নব নব প্রাতে ।
রাজনীতি কবিতার অংশ বটে-
তবে, কেবলই, কেবলই তা মানবাধিকার রক্ষার সংগ্রামী তটে ।
সবার জন্য সমতল পৃথিবী নিশ্চিত করার বার্তা হবে কবিতার খাতা- 
কবিকেও হতে হবে নেতা: আম জনতার নেতা ।

পোশাক দান

উত্তর থেকে বইছে হাওয়া-
হিম হিম ভীষণ শীত,
ছোট বড় কাঁপছে সবাই-
যেন নড়ছে দেহের ভিত !

গরীব দু:খীর বড়ই কষ্ট-
পরার পোশাক তাদের নাই,
আমার সকল বন্ধুর কাছে-
তাদের শীতের পোশাক চাই ।

স্কুলে রাখা দান বাক্সে-
সে পোশাক করবো দান,
শীতে সবাই ভালো থাকবে-
চায় যে আমার প্রাণ ।

সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮

ক্রাশ

অসাম লুক এর পাগলীরে তুই
একবার ফিরে চাস,
দেখে যা, এই বুকটা জুড়ে
শুধু তোর নামেই ক্রাশ ।।

তোর মিষ্টি মধুর কথায় ক্রাশ,
হেলেদুলে চলায় ক্রাশ,
তোর রূপে ক্রাশ- গুণেও ক্রাশ,
ও এঞ্জেল তুই-
হ্যাঁ বললেই আমি-
স্বর্গে করবো বাস ।।

দিবানিশি তোরে নিয়ে
ক্রাশ খায় কতো ছেলে,
প্রপোজের বন্যায় ভেসে
যাসনে তুই আমায় ফেলে ।
ও এঞ্জেল তুই-
আমার লাভ রিএকশনে
প্লিজ ভালোবাস ।।

কী সুখ পাইলি বল

ওরে পাহাড় ভাঙ্গিয়া নামে
যেমন অথৈ বানের ঢল ।
সেইরূপ কান্দাইয়া আমায়
কী সুখ পাইলি বল ।
আমারে কান্দাইয়া তুই
কী সুখ পাইলি বল ।।

আমি না হয় ভাইসা গেলাম-
একা দুঃখের সাগরে,
তবু সুখে দেখতে চাই
তোরে জগত মাঝারে ।
তুই দুঃখে থাকলে আমার
চোখে আসবে জল ।
আমারে কান্দাইয়া তুই-
কী সুখ পাইলি বল ।।

তোর সুখই আমার সুখ
বুঝলি না কেন তুই ।
তোর দুঃখে আমার অন্তর
কষ্টের মরু ভুই ।
নিজের ভালো চাইয়া তুই
করলি প্রেমে ছল ।
আমারে কান্দাইয়া তুই
কী সুখ পাইলি বল ।।

আপন কেউ নাইরে আমার

আপন কেউ নাইরে আমার
আপন কেউ নাই,
মনে জমা দুঃখের কথা-
কারে যে শোনাই ।
আমার) সুখের কথা, দুঃখের কথা-
কারে যে শোনাই ।।

রূপকথার গল্পের মত
এক রাজকুমারি ছিলো,
অন্যদেশের রাজা এসে
তারে কেড়ে নিলো ।
সেই থেকে জীবন একা
কষ্টের সীমা নাই!
মনে জমা দুঃখের কথা-
কারে যে শোনাই ।।
আমার) সুখের কথা, দুঃখের কথা-
কারে যে শোনাই ।।

কতো গল্প, কতো গান
আছে হৃদয়ে জমা,
প্রেমের কথা কারে বলি
হারিয়ে প্রিয়তমা ।
না বলা সেসব কথা-
আমি লুকিয়ে বেড়াই!
মনে জমা দুঃখের কথা-
কারে যে শোনাই ।।
আমার) সুখের কথা, দুঃখের কথা-
কারে যে শোনাই ।।

রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

ভাঁজ খোলো

অন্ধকার গুহায় - কবি এসে বসলেন, বললেন:
ভাঁজ খোলো!
হাসির শব্দ তীব্র হতে হতে আবার থেমে গেলো,
নারী কন্ঠে বললো: পাগল!
কিচ্ছু নেই অবশিষ্ট! কত যুগ যুগ ধরে- যন্ত্রণার শীতল স্পর্শে সব চাওয়া-পাওয়া:
জমে জমে বরফ স্তুপ!
আমি অসহায় অধিকারহারা যুবক গুহার মুখে-
তাদের কথোপকথনে দিয়েছিলাম ডুব, চুপচুপ!
নারী কন্ঠে বললো: দেহকাব্য নয়, মনকাব্য পড়ো ।
কবি, তোমার প্রিয় কবিতা বইয়ের ভাঁজ খোলো-
দেখি, মানবতার কবিতা লিখেছো কতো?
তার চেয়ে কম না বেশি- কাম, প্রেমের কথা বলো যতো?
নারী কন্ঠে বললো: আমার মতো অন্ধকার গুহায় কারো যেন না হয় বাস!
এতোটুকু অনন্ত নিশ্চিত করো তোমার কবিতায়- বিশ্বময় হোক আলোক আবাস ।

আমি পড়ি, পরেরদিন, ঐ কবির কবিতা পত্রিকার পাতায় ছাপা হলো -
কবিতা শিরোনাম: "পুরো পৃথিবী আজ প্রবেশ করেছে অন্ধকার গুহায়, ভাঁজ খোলো!"

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

পাঁচটি হাইকু

১.
ব্যাঙের বিয়ে
বরযাত্রীরা যায়
বিমান দিয়ে !

২.
প্রেমের নাও
মনে মিললে মন
তবেই বাও ।

৩.
মেঘের দল
বলে: প্রেম কাননে-
দু:খের জল!

৪.
বৃষ্টির সাজে
প্রজাপতির মন
ফুলের ভাজে!

৫.
আকাশ নীল
জলজ ছলছল
চোখের মিল ।

চলার পথে একটি ছেলে এসে বললো

চলার পথে একটি ছেলে এসে বললো- ভাই,
তোমার কাছে বাঁচার মত- পৃথিবীটা আমার চাই ।।

তুমি কি বোঝনা- ক্ষুধার কি যাতনা ?
দরিদ্রতার কষাঘাতে-কতো শিশু আমরা,
অকালে মারা যাই।।
আমরা) অকালে মারা যাই।।

তুমি কি বোঝনা- মূর্খতার কি বেদনা ?
ভাগ্যের পরিহাসে- কতো শিশু আমরা,
পড়াশুনার সুযোগ না পাই।।
আমরা) পড়াশুনার সুযোগ না পাই।।

তুমি কি বোঝনা- প্রতারণার কি  নির্মমতা ?
অসৎ লোকের চাপে কতো শিশু আমরা,
বিপথে চলে যাই।।
আমরা) বিপথে চলে যাই।।

তুমি কি বোঝনা- ভালোথাকার কি বাসনা ?
এই পৃথিবীতে বাঁচার তরে- কতো শিশু আমরা,
হাহাকার করে যাই ।।
আমরা) হাহাকার করে যাই ।।

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

তবে তুমি মানুষ

কতো মানুষ না খেয়ে মরে,
কতোলোক বাস্তুহারা,
কতো মানুষ চিকিৎসা না পায়,
কতোলোক সর্বহারা ।
এসব নিয়ে তোমার বিবেক
দিয়েছে কভু কি নাড়া ?
যদি নাড়া দেয় তবে তুমি মানুষ,
নইলে মানুষের পরিচয়হারা ।।

কতো মানুষ ভালো পোশাক না পরে,
কতোলোক শিক্ষার আলো ছাড়া,
কতো মানুষ নায্য পাওনা না পায়,
কতোলোক অধিকারহারা ।
এসব নিয়ে তোমার বিবেক
দিয়েছে কভু কি নাড়া ?
যদি নাড়া দেয় তবে তুমি মানুষ,
নইলে মানুষের পরিচয়হারা ।।

কতো মানুষ সুপথ কি চিনলোনা,
কতোলোক দিশেহারা,
কতো মানুষ সুখ কি বুঝলোনা,
কতোলোক আপনহারা ।
এসব নিয়ে তোমার বিবেক
দিয়েছে কভু কি নাড়া ?
যদি নাড়া দেয় তবে তুমি মানুষ,
নইলে মানুষের পরিচয়হারা ।।

বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৮

দীপাবলি এবং দেবদাস

দীপালি ক্ষণে-
ফের আগুন জ্বলে পোড়ামনে!

যখন বয়স আমার বাইশ বসন্ত পেরোলো-
হঠাৎ আঁধার জীবন আঙ্গিনায় আলো জ্বলেছিলো,
ভালোবাসায়- তোমার ছোঁয়ায়, সেদিন ছিলো দীপাবলি রাত ।
আধো আলো আধো ছায়ায় হাত ধরে গেয়ে উঠলে-
আগুনের পরশমনি জ্বালাও প্রাণে...
আমি শুনে মুগ্ধতায় পড়েছিলাম তোমার ধ্যানে-
রাত গড়িয়ে ক্লান্ত চোখে শুরু হয়েছিলো - সেদিন সোনালী প্রভাত ।

তারপরের গল্প: ছোট গল্প ।
তোমার যুগল জীবন চলছে বেশ অন্য পুজারির ঘরে!
আমার একলা জীবন-
এখনো বেঁচে আছে প্রাণ কোনমতে ধড়ে!
গেরুয়া বসনে আমি যখন মনে মনে তোমায় খুঁজি-
এই মন্দির ছেড়ে ওই মন্দিরে যাই যাযাবরের মত-
তখন কতো যুবক প্রশ্ন করে- তোমার গল্প শোনার বায়না ধরে, শোনেনা বারন
ঘোরে পিছু পিছু অবিরত! পাড়ার সবাই জেনে গেছে যে তুমিই এমন জীবনের কারণ!

আমি গল্পে বলি-
প্রেমের আলো নিভতে দিতে নেই ।
যত কষ্ট হোক- করো প্রেম মিলনাত্মক!
প্রার্থণায় বলি- কারও জীবন দেবদাসের মত নষ্ট না হোক, নষ্ট না হোক ।

তুমি কি আমার বৌদি হবে?

তুমি কি আমার বৌদি হবে?
যদি হও, তবে-
তুমি আমার হৃদয়ের লক্ষী,
তুমি আমার হৃদয়ের সরস্বতী,
তুমি আমার হৃদয়ের দূর্গা,
এভাবে সবগুলো দেবীরূপে-
আমার মন মন্দিরে চিরদিন রবে ।
তুমি কি আমার বৌদি হবে?

তুমি কি আমার বৌদি হবে?
যদি হও, তবে-
প্রভাতী সূর্য ওঠার কালে,
সিঁদুর পরিয়ে দেবে দাদা তোমার ভালে,
সে আলোয় আলোকিত হবো সারাদিন ।
আবার সন্ধ্যে বেলায়-
তোমার হাতে সান্ধ্য প্রদীপ জ্বালাবো,
সে আলোয় নিশির আঁধার হবে ক্ষীণ ।
এ জীবনে চলার পথে-
সদা আলোকবর্তিকা হয়ে রবে ।
তুমি কি আমার বৌদি হবে?

তুমি কি আমার বৌদি হবে?
মা, মাসি চলে গেছে-
একলা একলা ফেলে!
বড়দা ভীষণ ব্যস্ত-
কাজে, টাকা কোথায় মেলে!
আমি বেকার, দু:খে সময় কাটাই -
মাথার উপর ছায়ার মত কেউ নাই, কেউ নাই ।
একলা চলা তপ্ত রোদে-
ছায়া দেয়া বটবৃক্ষ হয়ে রবে,
তুমি কি আমার বৌদি হবে?

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮

কতো কি দেখবো ভাইজান!

কতো কি দেখবো ভাইজান-
বিএনপির সমাবেশে- আওয়ামী লীগের শ্লোগান!
কতো কি দেখবো ভাইজান-
আওয়ামী লীগের সমাবেশে- বিএনপির শ্লোগান!

চেয়ে চেয়ে, দেখে দেখে লাভ কি?
কন্ঠে চাবি আমরাও বাড়িয়ে দি!
শ্লোগান ধরো, শ্লোগান ধরো-
মসনদ বড়, মসনদ বড়!
তাতে যদি হয় হোক-
আদর্শ ভেঙ্গেচুড়ে খান খান!

কতো কি দেখবো ভাইজান-
নয়া রাজনীতিতুন টাসকি খাইজান!

নদীর বুকে চাঁদ ডুবেছিলো একদিন

মনে পড়ে, মনে পড়ে আজও, নদীর বুকে চাঁদ ডুবেছিলো একদিন,
সে কী রূপোলী জলকেলি! স্বপ্তসুর, নুপুর, নৃত্যরূপঃ তা ধিন ধিন ।
ঢেউচুড়া অষ্টাদশী যুবতীর বুক-
বলতে গেলে, নদীর পুরো দেহে ছিলো কেমন কেমন ভীষণ সুখ!
লেপ্টে থেকে থেকে কিছুটা এগিয়ে নাভীকুপ ঢেউ পাদদেশ,
খবর অজনা সেসব! কতো নাবিক এমন জোসনা রাতে হয় নিরুদ্দেশ!
এরপর নদীর মোহনাঃ জলে জল মেশে,
মোচড় খায় যুবক হৃদয়, দেহ কাঁপে ভেসে বেড়ানো কচুরিপানা বেশে ।
সেদিন কচুরিপানায় অবশ্য রঙিন ফুল ফোটে!
চুমুক লাগায় জল- পাখি ঠোঁটে!
নদী, পাখি, সময়- সব, সব হারিয়ে ফেলেছিলো খেই!
দুর্ভাগ্য তখন, নদীর বুকে বাসা বাধতে দেবার জায়গা নেই!
পাখি উড়ে গেলো, সুরেলা কন্ঠে ছিলো বিচ্ছেদী বীণ-
মনে পড়ে, মনে পড়ে আজও, নদীর বুকে চাঁদ ডুবেছিলো একদিন ।
মনে পড়ে, পড়ন্ত জীবন বিকেলে- অল্প সল্প, সঙ্গ গল্প, সে সময় ক্ষণকাল ।
আহারে মানব জনম! সুখ সে অস্থায়ী, দুঃখ দীর্ঘকাল ।

বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৮

প্রেমের সংলাপ

বালিকা,এসো খোলা মনে-
তোমার সাথে করবো প্রেমের সংলাপ ।
আমি বলি-ভালোবাসি, তুমি বলো- ভালোবাসি,
মোড়কে চাই না কোন সত্যের অপলাপ।

সফল সংলাপ সঙ্গম শেষে,
আমাদের অনাগত আত্মজ-আত্মজার জন্যে,
কার্যকর যুগল কর্মপরিকল্পনায়,
টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির সাধনায়-
বালিকা, এসো খোলা মনে-
তোমার সাথে করবো প্রেমের সংলাপ ।
প্রেমে শতভাগ আস্থা রেখে, সত্য বলছি-
এসব নয় কোন ভ্রান্ত প্রলাপ ।

আমাদের ভবিষ্যৎ যুগল জীবনে-
পূর্ব অথবা উত্তর কোন শর্ত নেই আমার !
এই হৃদয় ভুখন্ডে শুধু ভালোবাসার পতাকা উড়বে,
পারাস্পরিক শ্রদ্ধাবোধে নির্ধারিত হবে তোমার-আমার অধিকার ।
বালিকা, এসো খোলা মনে-
তোমার সাথে করবো প্রেমের সংলাপ ।
সমঝোতার সুশৃংখল ভাবনায়-
আগামী সুসময় গড়ি- জয় হোক প্রেমের প্রতাপ ।

মোটর বাইকে নারী

মোটর বাইকে চালক নারী দেখে-
পুরুষমন আড়চোখে তাকায়,
মেনে নিতে বোধহয় কষ্টহয়
এগিয়ে চলার এ প্রচেস্টা "সমতায়"!

সহজপাঠঃ গতি হতে হবে সমান-
যৌথ অগ্রযাত্রার পথে ।
ভ্রান্তপাঠঃ পুরুষমনের বেঁকে বসা বারবার-
যৌথ জয়যাত্রার রথে ।

"মোটর বাইকে চালক নারী"
একটি উদাহরণ মাত্র ।
আমিও পুরুষ! তবুও তোমায় বলছি,
এসো হয়ে যাই, মনযোগী ছাত্র-
দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনের পাঠে ।
চিন্তার "অসাম্যতা" রোধে ।
এগিয়ে চলুক পুরুষ, এগিয়ে চলুক নারী-
"সমতাবোধে" ।

হেমন্ত রজনী বয় সুমন্দ সমীরণ

হেমন্ত রজনী-
বয় সুমন্দ সমীরণ
সখীর পরশে-
শিশিরে ভেজে মন ।।

নিশুতি বেলায়-
কবি মন কি চায়? কি চায়?
বোঝেনা, বোঝেনা  কবিতা-
আহারে ! সখী মন ।।

দিপালী ক্ষণে-
তবু আছি বিরহ আঁধারে !
মিনতি সখী, প্রেমের প্রদীপে-
সাঁজাও মোর মন ।।