সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

Sadness is my long-time lover

Sadness is my long-time lover
-Sakib Jamal

Happiness makes the breakup over and over,
Sadness is my long-time lover!
When we learned to understand-
Like the red fairy, the blue fairy, with disguising-
Happiness – comes and goes!
But Sadness is only there -
Always on the way - as like a shadow, life entire!
Sadness is my long-time lover.

জেগে ওঠো সব মা

মা....
জেগে ওঠো সব মা।
তোমার ছেলে, তোমার মেয়ে-
বিপথে আজ যায় যে চলে!
তুমি কি দেখো না,
তুমি কি বোঝ না?
মা....
জেগে ওঠো সব মা।।

মারামারি, হানাহানি-
চলছে ভীষণ আজ,
মানবতা হারিয়ে সবাই-
নষ্ট করছে সমাজ।।
খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি
আজ নিত্য ঘটনা!
জেগে ওঠো সব মা।
মা....
জেগে ওঠো সব মা।।

তোমার ছেলে, তোমার মেয়ে,
তুমি যদি করো ঠিক,
সব পরিবার থাকবে সুখে-
সমাজ চলবে সঠিক।।
সবার জীবনের শিক্ষাগুরু-
তুমিই সে প্রথমা।
জেগে ওঠো সব মা।
মা....
জেগে ওঠো সব মা।।

সাধিকা সই

ও সাধিকা সই, তুমি আছো কই?
তোমার আঁচলে লুকিয়ে পড়বো বই-
প্রেমের!
তারপর,
আকাশ, মহাকাশ, মহাশূন্যে ভ্রমণ!
উর্ধ্বগমন-অবনমন, সংকোচন-প্রসারণ,
শেষে- স্থিতিশীল গ্রহে বসবাস।
ছায়াপথে ছায়াপথে, গ্রহে গ্রহে-
প্রেমের নামতা পড়ে পড়ে সন্ধান করবো সৃষ্টির রহস্য।
ভালোবাসা অনিঃশেষ। ভালোবাসা মহাজাগতিক।
চলো, একটু একটু জলে নেমে-
বায়ুতে ডুবে রই!

সময়ের কবিতা

সময়ের কবিতা


হে বিশ্ব মানবতা,
রইল একটি খোলা চিঠি- সময়ের কবিতা!
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের আছে কেবল একটাই গ্রহ,
শান্তিপূর্ণ রাখো এটি, রাখো ছন্দময় ছড়ার মতো।
অন্যের প্রতি শত্রুতার ভাব- মুছে ফেল তোমার,
চিন্তা করো, কীভাবে মানবতা- হবে নিশ্চিত সবার।
সবার জন্য- সাম্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করো তুমি,
প্রমান করো নিজেকে সর্বশক্তিমানের সেরা জীব। সময় এখনই!

---------------
ইংরেজি অনুবাদ
---------------
Poetry of Time

To all human being of the world,
It is  open letter- Poetry of Time!
We have only one planet to live,
Keep it peaceful with rhythmic rhyme.
Erase your antagonistic feelings towards others,
Above all, think, how to confirm humanity.
Make sure equality and justice to all,
Its now, Proof yourself the best creature of Almighty.

মন খারাপের রাজ্যে একলা রাজকুমার

মন খারাপের রাজ্যে, আমি- এক একলা রাজকুমার!
দমকা হওয়ায়, আকাশ মাঝে, উড়ে বেড়াই-
যেমন মেঘের মন ভার!
রাজা, রানী, রাজকুমারী, ভাগ নিতে কেউ নয় রাজি-
বিরহ, ব্যথা, দুঃখ- কেবল যার থাকে তার!
মন খারাপের রাজ্যে, আমি- এক একলা রাজকুমার!

হও শান্তির সৈনিক

আঁধার রাতে চাঁদ আলো ছড়াক...
আঁধার দিনে হাসুক- সূর্য,
সব কন্ঠে বাজুক শান্তির গান...
কোন কন্ঠে নয়- রণতূর্য!
আদিমতাপ্রসূত যুদ্ধের দিন শেষ।
এখনতো মানুষ- মানবিক যুগে করবে প্রবেশ।
               মসজিদের মিনারে ধ্বনিত- "হাইয়া আলাল ফালাহ"
               প্রতিধ্বনিত হোক মূখে-মনে বারবার।
               মন্দিরের ঘন্টা ধ্বনির সাথের বানী- "ওম শান্তি, শান্তি"
               প্রতিধ্বনিত হোক মূখে-মনে বারবার।
               গীর্জার প্রার্থনা বানী- "গড ব্লেস আস অল"
               প্রতিধ্বনিত হোক মূখে-মনে বারবার।
               প্যাগোডার প্রার্থনা বানী- "সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু"
               প্রতিধ্বনিত হোক মূখে-মনে বারবার।
সব ধর্মমতেই, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অযৌক্তিক।
হও শান্তির সৈনিক, হও মানবিক।।

লক্ষ্মী জোছনায় নিমন্ত্রণ

আজ শরতের শেষ পূর্ণিমা তিথি, ভীষণ নিসঃসঙ্গতা মনের বাটে,
একলা আমি বসে আছি নির্জন প্রহরে- সান বাঁধানো গায়ের পুকুর ঘাটে,
লক্ষ্মী দেবী নেমে আসা জোছনায় রাত ভরা,
পুকুর জলে চলে রূপের নৃত্য খেলা- তবু কল্পনার দেবী, দেয়না সত্য হয়ে ধরা!
প্রদোষ থেকে নিশীথ অবধি, এতো ডাকলাম, এতো দিলাম পুজো-
ধনের লোভে নয়, খুঁজে বেড়াই শুধু একটি প্রশস্ত প্রেমের মন, আজো!
কোজাগরীর প্রতিক্ষণে ক্ষণে ভজি তোমায়, তবু দেখিনা পায়ের ছাপের ছবি- আসবার লক্ষণ,
দখিনে পবনে বয়না কেন- প্রেমের উত্তাল সমীরণ?
অথচ, মধু জোছনায়- পাশা খেলার সময় বয়ে যায়, সয়না দেরী এই অন্তর যে আর,
কোথায় তুমি দেবী আমার?
দুঃখজনক, এমন রাতে এমন একলা ভ্রমন!
কল্পনা ভেঙে, ভালোবেসে এ জীবনের লক্ষ্মীরূপে- এসো তুমি, রইলো সবিশেষ নিমন্ত্রণ!

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯

কামগ্নি এবং আমি

স্পষ্টত, এই দেহ কামুক!
ধন চায়, জন চায়, মান চায়- একান্ত নিজের করে সব চায়,
চাওয়ার শেষ জানে না, সর্বভুক।
অসীম চাওয়াই- কামগ্নি: ভালোবাসাকে গিলে খায়।
তোমার প্রতি আমার প্রেম ধ্বংস করে- বিদায় চায়!
অথচ আমি যে তোমাকে ভালোবাসি!
গান্ধী মতে, এই দেহকে তাই একটু কষ্ট দিতে চাই।
মনকে, দেহের নিয়ন্ত্রক করার অভিপ্রায়ে-
এই দেহকে দূরে সরাচ্ছি, তোমার মনে স্থান পাবার জন্যে!

দুঃখই আমার দীর্ঘকালীন প্রেমিকা

সুখের সাথে শুধু ব্রেকআপ হয় বারবার-
দুঃখই আমার দীর্ঘকালীন প্রেমিকা!
যখন থেকে বুঝতে শিখেছি-
লাল পরী, নীল পরী সেজে সেজে-
সুখের এই আসা- এই যাওয়া!
দুঃখই শুধু আছে মিশে-
চলার পথে সবসময়- ছায়ার মতো অবিরত। মহাকায়া!
দুঃখই আমার দীর্ঘকালীন প্রেমিকা।

বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৯

প্রসঙ্গ কন্যা শিশু দিবস

একুশ শতক এখন-
এইসময়ে এসেও আলাদাভাবে "কন্যা শিশু দিবস" নেই প্রয়োজন!
সচেতনা বাড়াতে-
শুধুমাত্র "বিশ্ব শিশু দিবস"-ই যথেষ্ট বোধকরি।
লিঙ্গ বৈষম্য কমাতে যেয়ে, কর্মকান্ডকে লিঙ্গান্তর করা-
বৈষম্যের ক্ষেত্র স্থানান্তর করে মাত্র, সমতা আনে না।
ছেলে শিশু বা মেয়ে শিশুর জন্য আলাদা দিন নয়, আলাদা ভাবনা নয়।
সব শিশুই ভালো থাকুক। হোক শিশুদের অধিকারের জয়, হোক সমতার জয়।।

দেবীর নিমন্ত্রণে ভেজো শুদ্ধ জলে

সবুজ পাতার মতো ভেজো- দেহ। অদৃশ্য বাতাসের মতো ভেজো- মন।
সবুজ পাতার উপর-নিচ, কিনার, শিরা-উপশিরা সব পরিচ্ছন্ন হোক।
অন্তর মমও পরিচ্ছন্ন হোক একই সাথে।
দেবীর নিমন্ত্রণে- আকাশ থেকে নেমে আসা শারদীয় বর্ষার জল, ভেজো সেই শুদ্ধ জলে!
তারপর, গাও অসুর বিনাশী গান। দূর্গতি বিনাশ হোক। উত্সব হোক সবার নির্বিশেষে।
মঙ্গলালোক জ্বলুক। আজকের আবেশী মনে সময় বয়ে চলুক বছরজুড়ে।

পুনশ্চ, শারদীয় বর্ষার শুদ্ধ জলে ভেজো- সকলে।
----
উৎসর্গ: সনাতন ধর্মাবলম্বী বন্ধুদের।

বৃষ্টি ভেজা শরৎ রাত

বৃষ্টি ভেজা শরৎ রাত, প্রেমে সজীব।
চলে যায় সূর্য ওঠার কাছাকাছি...
অথচ তুমি এলে না, বদ নছিব।।
               বলো, শরতের ক'টি রাত পায় বৃষ্টির আলিঙ্গন,
               বলো, বলো, শরতের ক'টি রাত করে শীতলতা চয়ন?
               বলো, শরতের ক'টি রাত গায় ঝিরিঝিরি গান,
               বলো, বলো, শরতের ক'টি রাত ছড়ায় কামিনীর ঘ্রাণ?
এমন রাত, কি করে উপেক্ষা করো তুমি? ভালোবাসায় না মেতে থাকো!
বদ নছিব! বদ নছিব! আমার-তোমার বদ নছিব!!!

ব্যর্থ মন পিয়ন

স্বপ্ন আমার স্বপ্নই গেলো রয়ে,
দিয়েছে ভীষণ আড়ি,
দিন ফুরালো, রাত ফুরালো,
বয়ে গেল সময় গাড়ি,
ব্যর্থ মন পিয়ন খূঁজে সারাক্ষণ-
পেল না স্বপ্নের বাড়ি।।

প্রেমের দেশে এক প্রেমের গায়,
আমার ভালোবাসা থাকে,
অবুঝ মন পাগল হলো এমন
দু চোখ শুধু খোঁজে তাকে।
দিশা হারিয়েছে কখন এ হৃদয় ভীষণ ,
বেড়ে চলেছে আহাজারি।।
মন পিয়ন খূঁজে সারাক্ষণ-
পেল না স্বপ্নের বাড়ি।।

স্বপ্ন সত্যির অপেক্ষাতে,
বিরহ আগুনে জ্বলবো কতো?
বেদনায় ডুবে থাকবো কতো?
কষ্ট প্রহর আমার শত শত।
জানি, স্বপ্ন সবার হয় না পূরণ,
মনকে তবু ঝুঝাতে না পারি!
মন পিয়ন খূঁজে সারাক্ষণ-
পেল না স্বপ্নের বাড়ি।।

দোষবৃত্ত

তখনকার শাসকদল দোষ দেন এখনকার শাসকদলের,
এখনকার শাসকদল দোষ দেন তখনকার শাসকদলের,
ব্যর্থতা বা অপকর্ম লুকাতে, দোষবৃত্ত চলমান-
                              রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র পর্যন্ত!
দোষবৃত্ত থেকে শাসকদল যতক্ষণ বের হতে পারবে না-
                             ততক্ষণ জনতা "মুক্তি" পাবে না!


রাজনৈতিক দোষবৃত্ত "জনগণের অধিকার" বৃত্তবন্দি করে রাখে।।