সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ক্যাসিনোর আসল চাল

ক্যাশ আনো, উড়িয়ে দাও, ফতুর হও! চলে খেলা-
হেলাফেলায় ছলের নেশায় ডুবে মরো সারাবেলা।
আগুনের পাশে পোকার মতো ঘোরে থাকো রাতদিন,
জানটা যাবে, মানটা যাবে, টের পাবে না কোনদিন!
নেশা শেষে পেশা হবে, ভুলে যাবে বাকি সব,
টাকার খোঁজে চরিত্র যাবে, কণ্ঠে আসবে বাজে রব।
দিন দিন সবে দূরে যাবে, বলবে মুখে ছি ছি ছি,
ক্যাসিনোর মেশিন বলো- টাকা ছাড়া চেনে কি?
টাকা শেষ, তুমি শেষ, মাঝ দিয়ে নষ্ট জীবনকাল।
ক্যাসিনো, জুয়া খেলায়- এটিই হলো আসল চাল!!!

ডুব

নদীর জলে নাইতে নেমে ছেলেবেলায়-
ডুব দিয়ে জলের মাঝে- বেঁছে বেঁছে কাঁদা মাটি খোঁজার খেলায়,
যখন সফল হয়েছি- তুলে এনে প্রিয়সব প্রতিমা বানিয়েছি, আনন্দে ভেসেছি।
বয়স্কদের কাছে এসব ছিলো হাস্যকর! সমবয়সী বন্ধুদের কাছে ছিলো প্রতিযোগিতার!
আর আমার চেয়ে ছোটদের কাছে ছিলো স্বপ্ন সম্ভার!
এখন, বয়সের বয়স হয়েছে!
তবুও ডুব দেই আমি, মানুষের মনের নদীতে-
নামতে থাকি জলের গভীরে, গভীর থেকে গভীরে, ভেবে নিয়ত সম্ভাবনাময়,
একটুখানি কাঁদা মাটি- খোঁজে আমার হৃদয়। এখনও মেতে আছি ডুবের খেলায়,
সে মাটি পেলে ইচ্ছে মত প্রতিমা গড়ে- আবারও আনন্দে ভাসবো ভালোবাসায়।

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

জোছনা লুকায় কৃষ্ণপক্ষে!

চন্দ্রাকর্ষণে সমুদ্রে ওঠে ঢেউ!
তখন, যখন মনের জোছনার সাথে চাঁদের জোছনা মিশে যায়-
ঠেকাতে পারে কেউ?
পারে না!
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তাল সমুদ্রে ডুবে যায় প্রেমিক নাবিক!
অমৃতের সন্ধানে যখন ডুবাতে থাকে অবিরাম-
সময়কাটা, জোর্তিবিজ্ঞানে ততক্ষণে পরিবর্তিত ক্ষণ!
চাঁদের সামনে আসতে থাকে, ভাসতে থাকে- কালো আবছা মেঘের নেকাব,
ভেঙে যায় নাবিকমনের সুপ্ত আলোর খোঁয়াব!

ধীরে ধীরে জোছনা লুকায় কৃষ্ণপক্ষে...

যেভাবে আমার পৃথিবী সাজে

আমার দীর্ঘশ্বাস যখন মিশিয়ে নিলো বাতাস,
আমার মনের দু:খের কথা আকাশ গেলো জেনে,
জানার পরে, রোদ ঝলমল দিনে, নিয়ম আর না মেনে,
ডেকে বলে,"মেঘবালিকা কই?
বানিয়ে দিলাম তোকে আজ দখিনে বাতাস সই,
আয় ছুটে আয়,
ওর আঙিনায়।"
তাড়াহুড়ো মেঘবালিকার আসতে হয় না দেরি,
আসতে পথে নিয়ে আসে সব বাষ্প করে ফেরি!
ধীরে ধীরে রূপ ধরে নেয় কালো থেকে কালো।
বলে, "আকাশ, এবার তোমার দ্বিতীয় আদেশ বলো।"
আকাশ বলে, "নিজেকে করো ক্ষয়। বৃষ্টির ফোঁটায় দেরি করো না আর।
হোক পৃথিবীর বুকে নতুন করে  সবুজেরই বাহার!
কিছুদিন পরে, ফোটে ফুল, সৌরভ ছড়ায়, অলি করে গান,
নিষেক শেষে বেড়ে চলে নব নব প্রাণ।
জাগগানে কোরাস চলে ভালোবাসার সূচনায়।
আমার মনের দু:খ তখন নিমিষে উবে যায়।

এভাবেই মজলুমের দীর্ঘশ্বাস থেকে পৃথিবী সাজে।।

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বয়স হলো তোর, বুঝ হলো না!

ভোলা মন, মন আমার
ভুলের মাঝে রইলি সারাক্ষণ
বয়স হলো তোর, বুঝ হলো না-
চিনলি না আপনজন।।

তোরে কে খাওয়াইলো, কে পরাইলো
ছোট ছিলি যখন,
এখন তোর কাজের দোহাই, বাঁচার দোহাই
ভুলতে নিরঞ্জন ।
বয়স হলো তোর, বুঝ হলো না-
চিনলি না আপনজন।।

বসে একা তুই নিরিবিলি
ভেবে দেখরে বোকা মন,
কেমন থাকবি, কেমন রইবি
ঐ আন্ধার ঘরের কোন ।
বয়স হলো তোর, বুঝ হলো না-
চিনলি না আপনজন।।

শেখ মুজিব: বাংলাদেশ

আজ হতে- শত বর্ষ আগে,
খোকার আগমনে,
বেজেছিল নতুন সুর, নতুন এক রাগে-
সে খোকার নাম- শেখ মুজিব
সে সুরের নাম- বাংলাদেশ ।।
শেখ মুজিব: বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ: শেখ মুজিব ।।

দেশের জন্য ভালোবাসা
ছিলো খোকার প্রাণ,
কণ্ঠে ছিলো
মানুষের অধিকারের গান।
এনে দিল সে  স্বাধীনতা,
এনে দিল একটি দেশ।
সে খোকার নাম- শেখ মুজিব,
সে দেশের নাম- বাংলাদেশ ।
শেখ মুজিব: বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ: শেখ মুজিব ।।

আজকের দিন- শুভ দিন,
এসো নবীন, এসো প্রবীণ,
করব খোকার স্বপ্ন পুরণ,
গড়ব তার স্বপ্নের দেশ ।
সে খোকার নাম- শেখ মুজিব,
সে স্বপ্নের নাম- বাংলাদেশ ।
শেখ মুজিব: বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ: শেখ মুজিব ।।

কারবালা

মহররমের দশ তারিখে
দুঃখে পরান যায়,
হোসাইন শহিদ হলো বলে
ঐ কারবালায়।
আহা) ঐ কারবালায়।।

ফোরাত নদীর পাড়ে রক্তে
ভাসে মুসলমান,
শোকের ছায়ায় ঢেকে গেল
সারাটি জাহান।
কতো মুসলিম হলো শহীদ
ঐ যুদ্ধের দামামায়,
মন আমার কাঁদে আজও
সেই বেদনায়।
আহা) সেই বেদনায়।।

ক্ষমতার লোভে ইয়াজিদ
করে জুলুম শাসন,
প্রতিবাদ করতে গিয়ে-
হোসাইন দেয় জীবন।
ন্যায়ের পথের পথিক সেদিন
কেন হেরে যায়?
মন আমার কাঁদে আজও
সেই বেদনায়।
আহা) সেই বেদনায়।।কবিতাটি ৩৪ বার পঠিত হয়েছে।

রক্তকলম

কালো রঙের কালিতে- ফোটে না স্বাধীনতার ফুল!
এই কলমে কাশ্মীর নিয়ে কবিতা লেখা বেমানান,
কাশ্মীর নিয়ে তাই কি কবিতা লিখবো? কলম বলে-
ওখানকার জনগন- প্রতিদিন রক্ত দিয়ে লিখে যাচ্ছে কতো শত কবিতা,
সে কবিতামালা বোঝার ক্ষমতা আমাদের হোক!
যুগ যুগান্তর ধরে সেখানে জন্ম নিচ্ছে কবিতা- সন্তানহারা মায়ের,
যুগ যুগান্তর ধরে সেখানে জন্ম নিচ্ছে কবিতা- স্বামীহারা বিধবার।
যুগ যুগান্তর ধরে সেখানে জন্ম নিচ্ছে কবিতা- মাহারা সন্তানের,
যুগ যুগান্তর ধরে সেখানে জন্ম নিচ্ছে কবিতা- সন্তানহারা বাবার।
এমন অসংখ্য কবিতা সেথায় রক্তকলমে লেখা-
'হরি সিং শাসনামল' থেকে আজ পর্যন্ত এমন চিত্রই আমাদের দেখা।
স্বাধীনতার পক্ষের রক্তকলমে সৃষ্টি হয়- উত্তম কবিতা।
স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষের রক্তকলমে সৃষ্টি হয়- নিকৃষ্ট কবিতা।
প্রার্থনা, কাশ্মীরে রক্তকলমে- উত্তম কবিতার জন্ম হোক।
আর সেসব কবিতা সহজে বোঝার ক্ষমতা আমাদের সকলেরই হোক!

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

জেনোফোবিয়া

এই মহাবিশ্বে, বসবাসের একটিই ভূমি-
পৃথিবী, একমাত্র গ্রহ, আমরা বিশ্বাস করি।
মানব জাতিই হলো বটে শ্রেষ্ঠতর সৃষ্টি-
আছে বলে ভালোবাসার মত মন তাদের।
অন্যকে ভালবাসা-এগিয়ে যেতে সহায়তা করে
স্বর্গীয় পরিবেশের নকশা তৈরি করতে আমাদের।
তবে, জেনোফোবিয়া যথেষ্ট খারাপ ভাবনার পন্য,
কুরুচিপূর্ণ ভয়ে পৃথিবীতে জাহান্নাম বানানোর জন্য।
জেনোফোবিয়া মুছতে প্রেমকে করো ব্যবহার সদা।
শপথ করে বলছি, পৃথিবী হবে কল্পস্বর্গ একদা ।।
---------------
ইংরেজি অনুবাদ
---------------
In the universe, A land to live-
The earth, the only planet, we do believe.
Human race is the superior creation
Because of having the mind of love.
Loving others help us to move further,
To design heavenly environments here.
But, Xenophobia is bad enough
To make hell on earth full of ugly fear.
Use the Love as the eraser of Xenophobia.
On oath, once, the earth would be utopia.
-----------
নোট: জেনোফোবিয়া হলো বিদেশীদের সম্বন্ধে অহেতুক ভয়।

মেয়ে ঘাসফুল

একটি ঘাসফুল- এক রঙিন প্রজাপতির সাথে দেখা করতেই জনমের শুরু তার এমনটি কখনো ভাবেনি। অনেক কিছু শিখে নিয়েছিল পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র থেকে। জীবনকে স্বাধীনভাবে সাজানোর স্বপ্নে কাটতো দিনরাত।
সময় বয়ে যায়- ঘাসফুলও যৌবন পায়। স্বপ্নরা এতদিনে বেশ বড় হয়ে ওঠে।
সমাজের লোক কানাঘুষো শুরু করে- আইবুড়ি হলো! জাত গেলো, সমাজ বাঁচাও!
সবার চাপে- বিয়ের পিড়ি! ঘাসফুলের স্বপ্ন শরতের কুয়াশা নেকাবে ঢাকে। আর আসেনি বসন্ত কোন দিন।
মেয়ে ঘাসফুল: আগন্তুক পথিকের পদপরশে চলে শেষবেলার প্রস্তুতি।

মনে মেঘ করেছে

মনে মেঘ করেছে-
সমুদ্র সমুদ্র জল ভেসে বেড়ায় চোখের দুই আকাশে,
সে আকাশ ভেঙে হয়তো এখনই নামবে ফোঁটায় ফোঁটা মিলে বহতা নদী-
তবে ক্ষমতা নেই এর হৃদয়মুরুর সাইমুম থামানোর!
বিরহের নিম্মচাপ-
                 ভয়ঙ্কর ভীষণ শূণ্যতা: ঝড় হবেই।
ইট ভাঙা মেশিনের মত- ভেঙে চুড়ে গুরো গুরো করে দেয় জীবনের সুখ!
মনে মেঘ করেছে- ঘন কালো,
একলা জীবনে তাই- সুখ নাই, দুঃখই ভালো, দুঃখই ভালো!
সুখ তোমারই হোক ।

ফিজিক্স অব এক্স

একসময় "স্মৃতি" হয়ে যাবো তোমার!
তবে দু:খ করি না!
জানি, সবকিছুরই শেষ পরিনতি-
কৃষ্ণগহ্বর।
ভালোবাসা যখন ঘটনা দিগন্তে প্রবেশ করে-
আলো আর বিচ্ছুরিত হয় না।
বিরহ বেদনার বহুমাত্রিক আকর্ষণে-
আঁধার হয় বাসঘর।।
একসময় "স্মৃতি" হয়ে যাবো তোমার!

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে

শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে- কি দেখো তুমি?
ঢেউ অথবা পর্বতমালা! পিঠ কতোটুকু ঢাকা অথবা খোলা!
তুমি এও দেখতে পারো- নাভীকুপ: পেশীবহুলতা অথবা টানটান-
দেখতে পারো- কুঁচি পড়া নাকি গ্রাম্য সাজে সাজানো শাড়ি খান!
দেখতে পারো তুমি- ব্লাউজ হাতাকাটা নাকি হাতের কবজি পর্যন্ত-
দেখতে পারো- শাড়ির নিচে ছায়া লুকানো নাকি দুই-তিন আঙ্গুল ছায়া নিচে বিস্তৃত!
তোমার ব্যাপার, এসব দেখে-
হতে পারো তুমি-রুচিশীল ভালোবাসায় বিদগ্ধ অথবা কামোদ্দীপ্ত!
তবে একটু চেস্টা করলেই তুমি দেখতে পারো,শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে-
কেমন করে ভালোবাসা সাজে, সাজে মায়া মমতা- সাজে ঐতিহ্য তার মাঝে।
দাদীর শাড়ির ভাঁজে, নানীর শাড়ির ভাঁজে- 
কতো লুকিয়ে রেখেছে তারা তোমার ছেলেবেলার খাবার- চকলেট, বাদাম, বুট, ইত্যাদি।
মায়ের শাড়ির ভাঁজে, আঁচলের নিচে লুকিয়ে-
পেয়েছো তুমি কতো ভালোবাসা, মায়া, নিরাপত্তার সুখ- পথচলার নির্দেশ নিরবধি।
বোনেদের শাড়ির ভাঁজে, খালামনিদের শাড়ির ভাঁজে-
কোমারে লুকানো ছিলো পয়সার থলি- তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যেত মেলায়। 
বড়বেলায় প্রিয়তমার শাড়ির ভাজে-
কতো সুখ, কতো দুঃখ লুকিয়ে রেখেছো তুমি- গল্প,কবিতা,গানের ভাষায়!
শাড়ির ভাঁজের এসব কথা তোমায় কি কখনো ভাবায়?

মনে করে দেখো- 
একসময় শাড়ির আঁচলে বাধা চাবিগুচ্ছে নির্ভর করতো পুরো সংসারধর্ম।

বাবা-মেয়ে ছড়ালাপ

মেয়েঃ          আমার বাবা মিস্টি বাবা,
                        আমার বাবা ভালো ।।
বাবাঃ           তুমি আমার সোনামনি,
                      আঁধার রাতের আলো ।।

মেয়েঃ         সুখে দুখে বাবা তুমি,
                            আমার বটের ছায়া ।।
বাবাঃ          তুমি আমার নয়নমনি,
                           আমার মায়ের মায়া ।।

সে দেখতে ঠিক মানুষের মত!

সে দেখতে ঠিক মানুষের মত-
অথচ তার হৃদয় খুঁড়ে কোন ভালোবাসা পাওয়া যায়নি!
পাওয়া গিয়েছে দুটো বাসা-
একটি ভীমরুলের,
                       অন্যটি মৌমাছির!
পুরো মস্তিষ্কজুড়ে এই দুইয়ের আনাগোনা সর্বক্ষণ।
তার স্বার্থ মেটাতে- কখনো সে ভীমরুল হয়ে হুল ফুটায় নিরীহ মানুষের গায়-
তারপর মৌমাছি হয়ে অন্যের অধিকার চুষে খায়!
সে দেখতে ঠিক মানুষের মত-
তবুও আমি তাকে- বিবর্তনে লেজ খসে পড়া প্রাণীই ভাবি মাত্র!

খুকুমনির শরৎ

শরৎ এলো বলে-
কাশবন দোলে,
           খুকুমনির কানে যেমন-
           দোলে কানের দুল।
নীল আকাশে,
সেই আনন্দে,
           ফুটেছে দারুন-
                সাদা মেঘের ফুল।
নীল-সাদা পোশাকে
যেমন সাজে খুকুমনি!
তেমনই সুন্দর আজ-
শরতের রূপের খনি!

আমাজনে পোড়ে মানবের সুখ!

আমাজন জ্বলে- 
                  জ্বলে পৃথিবীর বুক!
জেনে রেখো মানব, 
এই আগুনেই যাচ্ছে পুড়ে- 
                তোমার আগামীর বহু সুখ!
সবুজই পৃথিবীর প্রাণ, 
        অক্সিজেন-কার্বন ডাই অক্সাইডের- নিরন্তর সাম্যতায়:
        চলে সবুজ ফুসফুসেই অবিরত ধারায়- 
মানবের বেঁচে থাকার গান।
সবুজই পৃথিবীর প্রাণ।। সবুজই পৃথিবীর প্রাণ।।
সে ফুসফুস যদি পোড়ে আগুনে- 
                                    হবে নিশ্চিত ক্যান্সার! 
তুমি বাঁচবে না, বাঁচবে না পৃথিবী-
               চলমান সভ্যতা হবে ধ্বংসস্তুপের সম্ভার!

কবিতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র!

যুগ যুগ ধরে, সভ্যতার শুরু থেকেই-
বারবার কবিতাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করে দুর্বৃত্তরা!
কথাটি আশ্চর্যজনক নয়! ষড়যন্ত্র তত্ত্বও নয়! সত‌্যিকার ষড়যন্ত্রই হয়!
পরিসরের ওপর ভিত্তি করে বার্কুনের শ্রেণীবিন্যাসের-
ঘটনাকেন্দ্রিক ষড়যন্ত্র, সাংগঠনিক ষড়যন্ত্র, তীব্র ষড়যন্ত্র- সবই হয়!
যারা নিজের ভাষায় মানবতার কল্যাণে কথা বলে তারা- সবাই কবি। 
এবং তাদের কর্মই কবিতা- উপস্থাপনের ধরণ যেমনই হোক। 
এদের উপর আঘাত আসেনি কবে?
তবে সব ষড়যন্ত্রই ব্যর্থ হয়, হবে...

আজ হোক অথবা কাল হোক-
মজলুমের কন্ঠস্বরের ধ্বনি- প্রতিধ্বনিত হবেই!
কবিতা বেঁচে থাকবে অনন্তকাল।