মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৯

আপনার সমাজকে টিকা দিন

আপনার সমাজকে টিকা দিন- মানবিক টিকা। 
আমি কারও ধার ধারি না- এ কথা কখনো চলে নি, এখনও চলে না,
এই পৃথিবীর বুকে মানুষ একলা থাকতে পারে না, পারে না!
সমাজে পচন ধরলে তাই-
আমরা মানুষেরা মরে যাই। 
অমানুষ জেগে ওঠে, সংক্রমিত রোগের মত অন্য মানুষকে অমানুষ করে-
ছড়িয়ে পড়ে মহামারির ন্যায়,
ঘটে যাওয়া, রটে যাওয়া অমানবিকতার বিস্তার রোধে-
প্রতিকারের চেয়ে খুঁজুন প্রতিরোধের উপায়।
এখনই, আপনার সমাজকে টিকা দিন- মানিবক টিকা। 
মনে রাখবেন- আপনি কিন্তু সমাজের বাইরে নয়!
এই টিকাদান কর্মসূচীর শুরু যেন নিজেকে দিয়েই হয়।

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৯

মানবিক যুগ

জানা আছে, কালের শ্রেণীবিন্যাস: আদিম যুগ। মধ্যযুগ। আধুনিক যুগ।
আধুনিককে সর্বশেষ যুগ বলে অনেকে যতিচিহ্ন দাড়ী দিয়েছেন!
কিন্তু আমি হঠাৎ বড় রকমের একটি স্বপ্ন দেখেছি- এখানেই শেষ নয়!
এরপরের যুগটি হবে: মানবিক যুগ ।
সে সময়ে সবার মানবাধিকার নিশ্চিত হবে।
আমাকে এই তথ্য দিয়েছে-
শান্তির পায়রার দল। নীল জলপাই গাছ।
আমাকে নিশ্চয়তা দিয়েছে- প্রশান্ত মহাসাগর। 
আমি বিশ্বাস করি-
পায়রার চেয়েও সফেদ মানুষের লুকায়িত মন।
নীল জলপাই গাছের চেয়ে নীল মানুষের তৃতীয় নয়ন।
প্রশান্ত মহাসাগরের চেয়ে শান্ত এবং প্রশস্থ মানুষের আগাম চিন্তার পরিধি।

সুতরাং, আসছে আগামীতে যতো তাড়াতাড়ি পারো- ভালোবাসতে শেখো,
তোমরা পরবর্তী যুগ এর নাম- "মানবিক যুগ" রেখো!

আধুনিক আইয়্যামে জাহেলিয়াত!

এই সময়ে এসেও- মানুষ নামের প্রাণীর কাজে মানুষেই পাচ্ছে লাজ!
এই পৃথিবীর বুকে সব প্রান্তরই বুঝি- আঁধারে আঁধারে ঢেকে গেলো আজ!
ব্যক্তি মনে,
                    সমাজ মনে,  
                                        রাষ্ট্র মনে,
                                                          বিশ্ব মনে- 
                                                              কোথাও কোন আলো নেই!
বেশিরভাগ মানুষের চিন্তাভাবনা- আদিম যুগে যেমন ছিলো, অবস্থা এখনও সেই!!
পৃথিবীর বুকে- সূর্যের আলো জ্বলে ওঠা মানেই দিনের শুরু নয়!
মানুষের মনে- আলো জ্বলাতেই কেবল রাতের শেষ হয়।

সময়টা এখন অনেক রাত- আধুনিক আইয়্যামে জাহেলিয়াত ।

সভ্যতা ভেক্টর

গোলকধাঁধায় আছি! ঘুরছে মাথা  নিয়ত ভীষণ দিগ্-বিদিক!!
চলমান সময়ে ঘটমান বর্তমান- আদিম অথবা মধ্যযুগ নাকি যুগটা আধুনিক?
সভ্যতার যাত্রায় মানুষ এখন- পিছনে নাকি সামনে চলা নাবিক?
সভ্যতার উৎকর্ষতা পরিমাপের রাশি- হবে স্কেলার নাকি ভেক্টর?
বোধকরি, মান এবং দিক দুটোই থাকলে- অগ্রযাত্রা তবেই সঠিকতর।
সবার মানবাধিকার নিশ্চিতে- সভ্যতা ভেক্টরের যাত্রা সর্বদা সম্মূখে-
ব্যতিক্রমে এর "সময়" সে তো থমকে থাকে- আদিম অথবা মধ্যযুগে!

বাড়ির নাম- বিরহ নিবাস!

মনে পড়ে? যখন আমার বিশ!
তখন তোর বয়স ষোল!
শাপলা তোলার ছলে, এক বিকেলে, গিয়েছিলাম বিলের মাঝে- বেয়ে ডিঙি নাও,
নায়ের যাত্রী কেবল তুই-ই ছিলি, মাঝি? সে- আমার মনই হলো,
বলেছিলি হেসে হেসে, যতক্ষণ পারো- বাও, যেথায় খুশি, যতো দূরে- যাও! 
ইচ্ছে অবশ্য জেগেছিলো- 
যাই হারিয়ে, গাও পাড়িয়ে, নাও হাকিয়ে-  প্রেমের যমুনায়! 
সন্ধ্যা নেমে এলো বলে- ভালোবাসা ভুলে গিয়ে, 
বলেছি তোরে- যা,  তোর বাড়ি তুই যা! বকবে তোরে মায়!!

সেই যে গেলি- আর তো এলি না!
এরপর... বহু সময় গেলো- দেখা হলো না!
আমার এখন ত্রিশ চলে- গাও ছেড়েছি, নাও ছেড়েছি, 
একলা জীবন মানিয়ে নিয়ে- শহুরে যন্ত্রণাটা বেছে নিয়েছি!
তোর এখন সবই আছে-
ঘর-সংসার, ছেলে-মেয়ে, ভালোবাসা- অন্য নিবাস, অন্য কোন গায়!
তুই নাকি বেশ সুখেই আছিস্-  
লোকমুখে সেসব কথা আজও শোনা যায়!

যখন আমার বিশ! বয়স ষোল তখন তোর!
যদিও আমি "সেই মন" নিয়ে এখনও করছি বাস,
পার্থক্য শুধু, সোনালী দিন- হলো রাত, আধার ঘোর!
এবং বাড়ির নামটা বদলে হলো- বিরহ নিবাস!!!

প্রেম উপহার

যতো ব্যথা দাও
নেই ভয় আর,
ব্যথা আমার-
প্রেমও উপহার!

বলেছিলে তুমি-
কাছে এসে,
তাড়িয়ে দেবে-
দুঃখ ভালোবেসে ।
ভুলে গেলে আজ-
ওয়াদা তোমার!
দুঃখ আমার-
প্রেমও উপহার!

তবু আমি চাই-
তুমি সুখ পাও,
নতুন প্রেমে তুমি-
নতুন নাও বাও!
তোমার ভালো থাকা-
ভালো থাকা আমার,
বিরহ আমার-
প্রেমও উপহার!

লা লা লা...
লালা লালা লা...

জয়তু ফাউল ফুটবলার

একটু সুযোগ পেলেই এখন-
নামছে মাঠে, খেলছে সবাই, ইচ্ছেমতন!
অপরকে ভেবে ফুটবল যেন-
মারছে লাথি, করছে যতো- কায়দাকারণ!
স্বার্থ চিন্তাই মূখ্য ভীষণ-
নিয়মনীতির নেই বালাই, যাচ্ছেতাই, যাচ্ছেতাই!
যেনতেন করে জিততেই হবে -
হয় হোক অন্যের ক্ষতি- চিন্তা নাই, চিন্তা নাই!
বিবেক,বুদ্ধি, রেফারী বিহীন-
মাঠ সাজানো চমৎকার- জোর যার জয়ও তার!
বিশ্বজুড়েই চলছে খেলা নিশিদিন-
বাজছে বারোটা মানবতার- নেই কোন তার প্রতিকার!
চোখ থেকেও অন্ধ হয়ে-
সবাই যেন সাজছে ভাঁড়- দেখছে খেলা মজাদার!
প্রতিবাদে কেউ রা করেনা-
উল্টো তোষামোদে করে চিৎকার- জয়তু ফাউল ফুটবলার!
জয়তু ফাউল ফুটবলার!! 
আহা, জয়তু ফাউল ফুটবলার!!!

অথচ নাম রটে গেলো তার নটীবানু

কোনদিন কোন অভিনয়ই করেনি-
অথচ নাম রটে গেলো তার নটীবানু!
যৌবন আসেনি, কৈশরে পা দিতেই বৃদ্ধ বাবা বিয়ে দিয়ে দিলো-
প্রথম বিয়ে এটি তার । আবেগী কিশোরীমন ভালোবাসতে কার্পণ্য করেনি 
তবুও বছর তিনেক পরে এক সন্তানসহ ডিভোর্স দিয়ে উদাও বাউন্ডুলে স্বামী!
এরপর ঘরে ঘরে কাজের বেটি সে...
দ্বিতীয় বিয়ে নিজেই করেছে গার্মেন্টস্ কর্মী । প্রেম করে!
মধু খেলো ভ্রমর বছর দুই-
পরেই খুজে নিলো নতুন ফুলের নতুন ভুই ।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন । বছর খানেক অপেক্ষা শেষে-
নানা লোকে নানা কথা বলে- তা ঠেকাতেই তৃতীয় বিয়ে । 
যে বাড়ী কাজ করে সে বাড়ীরই এক কাজের ছেলের সাথে!
যার জোটে না, তার কোনকালেই জোটেনা- দুধভাত পাতে ।
নেশায় মত্ত, অসামাজিক কর্মপ্রিয় তৃতীয় স্বামীকে বিদায় জানাতে হলো-
রয়ে সয়ে তবুও বছর পাঁচেক হলো । এতদিনে মোট তিন সন্তানের মা!
বিরক্ত হয়ে বলেছিলো নাকি- "যা শালা তুই যা ।
আর কোন বিয়ের নাম নিবো না!"
চলতে থাকে সন্তানসহ একলা জীবন...
এতোদিনে চায়ের দোকানদার, পানের দোকানদার, মুদি দোকানদার, সবজি বিক্রেতা- 
সবাই তাকে নটীবানুই ডাকে! 
অথচ কোনদিন কোন অভিনয়ই করেনি জোসনাবানু!

এক বাদল দিনে এক চায়ের দোকানে অলস আড্ডায় বসে এসব কথা আমার শোনা-
ভাবি, কতো কতো জোসনাবানুর এমন বেদনার কবিতা কতো শত কষ্টের শব্দে বোনা ।

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯

ফুলজনম

কতো সুন্দরী ফোটতে চায় ফুল রাধার মত। প্রেমে মাতাল হতে চায় মন যৌবনে লীলাময় পছন্দের কৃষ্ণকুঞ্জে। একদিন তেমন এক রজনীগন্ধা ফুটেছিলো আমাদের গায়। অবাক ফুল দেখে- দিনের বড় বড় সাধুরা রাতের চোর তার বারান্দায়!
জবাকে বলছিলো রজনীগন্ধা এসব কথা । নথ নেড়ে নেড়ে জবা কয়- "বইন, দিনের বেলায়ও কতো ভ্রমর টোকা দ্যায় গায়!
শুনে শুনে মাটিতে লুটিয়ে পড়া শিউলিতনু বলে-
ফুলজনম কি এমনই গো সবার?

দ্রোহ প্রেম

যখন দ্রোহের প্রেমে পড়ে মন। মনে বয়ে চলে এলোমেলো পবন। পবনে কালোমেঘের ভাসান প্রস্তুত। চলে বিরামহীন দুরন্তপনা। মেঘে মেঘে ঘর্ষণ। বিদ্যুত চমকে হয় আলো উৎপাদন। সে আলোয়- আলোকিত হয় ভুবন। অন্ধকার পালিয়ে যায়! মেঘেদের কান্নার জলে কষ্ট পেতে নেই- পৃথিবী পরিচ্ছন্ন হোক। হোক নীল আকাশ। বয়ে চলুক ভয়হীন বাতাস। সবুজ হোক, সতেজ হোক মানবজমিন। একমাত্র দ্রোহই- অন্ধকার তাড়াতে পারে!
তুমিও তাই দ্রোহ প্রেমে পড়ো।।

বুধবার, ১০ জুলাই, ২০১৯

সাতটি কসম আমার পুরুষত্বের!

সোনার বাংলা, রূপসী বাংলা এবং সাবাস বাংলাদেশ-
এই জনপদ- থাকতে পারেনা আলোহীন! 
অথচ কি করে এতো অন্ধকার এলো এখানে?
এখানে, এখন কি রাত, কি দিন- ঘুটঘুটে অন্ধকার!
লোভাতুর হায়েনার দল ঘুরে বেড়ায় শংকাহীন- 
নারীর দেহ খোঁজে, নিত্য নতুন কৌশলে করে ধর্ষণ উৎসব!
পুরুষ নামধারী এইসব জানোয়ারে জনপদ- 
এই বাংলাদেশ হতে পারেনা।
যারা অন্ধকার বয়ে বেড়ায় চিন্তা-চেতনায়- 
এই জনপদ তাদের নয়, কখনোই নয়।
১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭১ 
চেতনায় রেখে- 
সাতটি কসম আমার পুরুষত্বের-
এখন থেকে এখানে- পশুদের প্রতিরোধ করবে পুরুষেরাই। 
এই জনপদ ঐসব পুরুষের- যারা শ্রদ্ধার আসনে রাখে মাতৃকূল।।
এই জনপদ সেসব পশু'র নয়- যারা কলংকিত করে মাতৃকূল।।

বৃষ্টির জন্য রাতভর অপেক্ষা

সন্ধ্যেবেলায়- হঠাৎ আলোর চমক, 
সারাদিন বসে বসে যে কামনার জল বাষ্প হয়েছিলো-
দীর্ঘকাল ধরে শুকনো হৃদয় ভেবেছিলো- 
বৃষ্টি খেলবে আপনমনে, বিরামহীন নৃত্য সারারাত।
আপত্তি ছিলো না যদি বৃষ্টিতে হয় কর্দমাক্ত এই দেহ, এই মাটি- নিজের,
তবুও স্নেহের জাতক সৃষ্টি হোক ভালোবেসে সভ্যতা টিকিয়ে রাখা বীজের!
কিন্তু বিচ্ছিন্নতার বিরহ ঝড় ছেড়ে দিলো বাতাস, 
উড়ে উড়ে ঘুরে গেলো মেঘের ভেলা । জমলো না প্রকৃতির খেলা-
রাতভর অপেক্ষা হলো বৃথা- বৃষ্টিহীন, সৃষ্টিহীন। জমলো জনমে কষ্টের মেলা!

রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯

রোল কল

পৃথিবীর পাঠশালায়-
বিবেক মাস্টার রোল কল করছেন-
প্রাণী শ্রেণীর উপস্থিতির খাতায়।
দলে দলে প্রত্যেক প্রাণী সমস্বরে উপস্থিতির জানান দেয়,
গাধা?
- উপস্থিত স্যার।
বানর?
- উপস্থিত স্যার।
শকুন?
- উপস্থিত স্যার।
হায়েনা?
- উপস্থিত স্যার।
ইত্যাদি ইত্যাদি... সবশেষের রোল কল করলেন-
মানুষ?
-উপস্থিত স্যার।
বিবেক মাস্টার হলেন অবাক-
মানুষের উপস্থিতি কমেছে, অন্যদের বেড়েছে- 
অন্যরা তাই বেশি সবাক!
ভাবনায় পড়ে মাস্টার মশাই-
চোখ রাঙিয়ে বললেন- 
মানুষের উপস্থিতি কম কেন জানতে চাই?

তখন কিছু গাধা বললো- আমরা আগে মানুষ ছিলাম!
তখন কিছু বানর বললো- আমরা আগে মানুষ ছিলাম!
তখন কিছু শকুন বললো- আমরা আগে মানুষ ছিলাম!
তখন কিছু হায়েনা বললো- আমরা আগে মানুষ ছিলাম!
আমাদের এই দশা- পেয়ে পেয়ে বিবেক, বুদ্ধি লোপ!
জনসংখ্যা বাড়লেও তাই কমেছে মানুষের সংখ্যা- আশংকাজনক!

মাস্টার মশাই চিন্তায় ভীষণ গালে দিয়ে হাত,
ভাবেন বসে, চলে যদি এমন উল্টো বিবর্তন,
ইউনেস্কোর বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকায়- 
মানুষের নাম না জানি ওঠে কখন!
"আবার তোরা মানুষ হ" এই বলে- বিবেক মাস্টার,
রোল কল সমাপ্ত করলেন আজকের মত পৃথিবীর পাঠশালার।

বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯

গান্ধীজীর তিনটি বাণী

সহিংসতার শিকড়
---------------
কর্ম ছাড়া- সম্পদ অর্জনের বাসনা,
বিবেক করে বন্দি- আনন্দ কামনা,
শুধুই জ্ঞান অর্জন- না করে চরিত্র গঠন,
নৈতিকতা ভুলে গিয়ে- বাণিজ্য, বিপণন,
মানবতার গান না গেয়ে- বিজ্ঞান, গবেষণা,
ত্যাগের চেতনা না রেখে- ইবাদত, প্রার্থণা,
নীতি ছাড়া যতোসব রাজনীতির বাহার,
গান্ধীজী বলেন- এসবই শিকড় সহিংসতার।
=================
আপনশক্তি
----------------
আপনার মাঝে শক্তির জন্ম- জয় থেকে নয়,
ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে সয়ে- তাকে জন্ম দিতে হয়।
কষ্টময় কঠোর সাধনায় নিজেকে গড়ে,
সমর্পনের চিন্তা দিয়ে বাদ- লক্ষ্যে পৌছানোর তরে,
নিজের মাঝেই নিজে করতে হয় শক্তির সঞ্চারণ,
গান্ধীজী বলেন- এভাবেই হয় আপনশক্তির উদ্ভাবন।
=================
মৃত্যু ও শিক্ষা
--------------------
এভাবেই বেঁচে থাকতে হবে, ভেবে মনে মনে-
যেন আগামীকালই হয়তো যাবে তুমি মারা!
শিক্ষা অর্জনের বাসনা তবে জাগিয়ে রাখতে হবে সনে,
ভেবে নিয়ে- হয়তো কোনদিনও হবে না এ জনম সারা!
=================

ভালো থাকুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়"- একটি দেশের সমান!
অবাক হলেন? আছে ইতিহাসে প্রমাণ!
বঙ্গভঙ্গ হলো, একটি বাংলা ভেঙে হলো দুটি দেশ-
বাধলো বিবাদ, দ্বন্দ্ব ভীষণ- নিয়ন্ত্রণ হলো কঠিন বেশ,
তখন ব্রিটিশ শাসক দল- 
বঙ্গভঙ্গ রদ করার করলো আরেক ছল,
দুই বাংলাকে ফের এক করা হবে-
পূর্ববঙ্গের তোরা কি চাস্ বল্ তবে!
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, জাতি গঠনে তাই-
পূর্ববঙ্গের নেতারা বললেন- বিশ্ববিদ্যালয় চাই।
জন্ম নিলো "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়", অনেক কষ্টের ফসল,
একটি দেশের জন্মের সমান ছিলো সেসব ধকল!
বলেছি তাই- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি দেশের সমান!
সেই থেকে আজ অবধি রেখেছে তার স্বাক্ষর-প্রমাণ!
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়-
স্বর্নাক্ষরে নাম লিখিয়েছি ইতিহাসের পাতায়, পাতায়।
জ্ঞানী-গুণীজন সৃষ্টি হয়েছে এখান থেকে কতো শত,
জাতির সেবায়, দেশের সেবায় থেকেছে অবিরত।
এখনও সেরা এই বিদ্যাপীঠ- বাঙালি জাতির অহংকার,
বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে দাড়ানোর- সেরা অলংকার।
মাঝেমাঝে বিপথে বিচ্যুতি কমবেশি সবার থাকে!
সাজে খুব কি বকা-ঝকা এনিয়ে প্রিয় প্রতিষ্ঠানটাকে?
ঐতিহ্য, সম্মান, অবদানসকল থাকুক চির অমলিন,
বিতর্ক এড়িয়ে, জাতি গঠনে- এগিয়ে যাক প্রতিদিন।
সাফল্যের সোনালী ডানায়- নতুন নতুন পালক যুক্ত হোক বেশ,
ভালো থাকুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভালো থাকুক বাংলাদেশ।

মেঘবালিকার খোঁজে

সেই ছোট্টবেলা থেকে-
মেঘবালিকার বহু গল্প শুনেছি । 
দেখতে কেমন? 
             কৃষ্ণকলি -লালটিপ পড়া হয়তো হবে, 
             নুপুর পড়ে ঘুঙুর বাজায় যখন মন মাতে,
             খুশিতে আলোক আভায় স্বর্নালী ঝুমকা দোলে, 
             আবার কষ্ট পেলে অভিমানে স্বচ্ছ জলের ফোটা ফেলে!"
আইনসিদ্ধ প্রেমে পড়ার বয়সে এসে,
হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলার বন্ধুতার খোঁজে-
ছুটে চলে মন মেঘমল্লিকা বনে!
উড়ন্ত পবন, দুরন্ত মন-
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছুটে চলতে মেঘবালিকাকে খুঁজে না পাবে যতক্ষণ!
কদমফুল ফোঁটার পরে তাই এক বাদল দিনে-
ইচ্ছে হলো অভিকর্ষজ ত্বরণের টান ছিড়ে,
ধীরে ধীরে উঠি ঘুড়ির মতন- যতদূর পারা যায়!
কথা হলো- খন্ড খন্ড মেঘমল্লিকা বনের সব মেঘফুলের সাথে,
"আমার মেঘবালিকা কই?"
রহস্যময়ী হাসি সবার মূখে!
হঠাৎ বিজলীর চমকে- শব্দধ্বনি, আমি কেঁপে উঠি!
ঘুম ভেঙে যায়।
আজও জানিনা আমি- আমার মেঘবালিকা কোথায়!
তোমরা কেউ কি জানো?
নিরুত্তর থেকো না! যদিও আমি জানি-
"সব প্রতিজ্ঞা পুরণ হয়না- এক জনমে!"