বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

চরিত্র বিষয়ক একগুচ্ছ অনু কবিতা

১.
সুযোগ পেলে –
আমরা হয়ে যাই হাতি,
অন্যকে ভাবি কলাগাছ
চাবাইয়া খাইতে মাতি !
-------------------------------------------------
২.
সামনে শুভাশিস
পেছনে ফিসফিস ,
সামনে গলায় পড়াই- মালা
পিছনে গালি মারি- "হালা" !
--------------------------------------------------
৩.
সারাদিন ব্যস্ত থাকি
কারে দেব বাঁশ,
অজান্তেই নিজে করি
নিজের সর্বনাশ !
---------------------------------------------------
৪.
ছিঁচকে চোরকে মেরে ফেলি,
ডাকাত এলে নমস্কার,
বলি-সবারই আছে বাপের বাপ-
জুলুমেও নিরব থাকি -চমৎকার !
----------------------------------------------------
৫.
এবার নিজের কথাও বলি-
উপদেশ দিতে উস্তাদ ভারি,
নিজের বেলায় খুজি নানা উপায়
সটকে পড়ি তাড়াতাড়ি !
--------------------------------------------------

অপরূপ হেমন্ত ( সনেট )

হেমন্তের আগমনে নাঁচেরে বাঙালী,
ফসলের মৌ সৌরভে মেতে ওঠে প্রাণ ।
আনন্দ জোয়ারে ভাসে সব মন মালী,
আগামীর সূখ স্বপ্নে গায় শুভ গান ।
নবান্নের উৎসব : বাজে ঐকতান,
ঐশ্বর্য, সূখ কামনা করে পুরো জাতি ।
সুফলা, শস্য শ্যমলা, এ বাংলা প্রমাণ,
প্রাণের চেয়ে প্রিয় এই সোনার মাটি ।
চিরায়ত এ এতিহ্য : গ্রোথিত হৃদয়ে,
নব অরুণ আলোয় চিত্রিত অবাক,
এতিহ্যের ধারাপাত সূখ সিক্ত থাক,
কালের প্রবাহে আজ অন্তর্মূখী সবে ।
মন ক্যানভাসে তবু গ্রাম বাংলা দীপ্ত,
অপরূপের হেমন্ত , শুভ হোক নিত্য ।
---------------------------------------------------------
অষ্টক : ক,খ, ক,খ, খ, ক, খ, ক ।
ষষ্টক : গ,ঘ,ঘ,গ,ঙ,ঙ।

আদর্শ অভিভাবকের কর্তব্য

আজকের প্রিয় সোনামনি যারা
তারাই আগামী দিনের নেতা,
গড়ো ভালো মানুষ প্রথমে -
তাদের হৃদয় করে স্বাধীনচেতা ।
মানুষের মত মনুষ হবার -
পণ অন্তরে দাও গেথে,
অন্য স্বপ্ন পুরুনের আশায় -
তারপরে একসাথে ওঠো মেতে ।
আদর্শ অভিভাবকের প্রধান কাজ
সন্তানকে দেয়া সুনীতি শিক্ষা,
তবেই পাবে তারা সঠিক পথ -
প্রকৃত মানুষ হবার দীক্ষা ।
শুভ হোক সোনামনিদের আগামী
থাকুক তারা সবসময় ভালো,
অভিভাবকের কর্তব্য সঠিক হলেই
সব সোনামনিই সমাজের আলো ।

মন ভোমরা হয়ে যায় দ্বিগুন খুন

তার রূপে গুনে মন ভোমরা হয়ে যায় দ্বিগুন খুন ,
হৃদয় জুড়ে বাজায় সে প্রেমের নুপুর রিনিঝিনি, ঝুন ঝুন ।


প্রথম খুন : একপলকেই ভালোলাগা, ভালোবাসা
চাঁদ বদন তার রূপ সাগর যেন দুধে-আলতা মাখা ।
নয়নে সে বনলতা সম, হাসিতে মোনালিসা নিপুন,
তার বন্দনায় মন ভোমরা গায় গান গুন গুন ।


পুনরায় খুন : যখন বসি আমি তার গুন কীর্তনে,
নাচে-গানে, মনে-প্রাণে সে দেবী তুল্য হে ।
শয়নে স্বপনে উড়াল দেই তার কুসুম কাননে,
যতবার দেখি মনেহয় তবু প্রতি দর্শনে সে নতুন ।


তার রূপে গুনে মন ভোমরা হয়ে যায় দ্বিগুন খুন ,
হৃদয় জুড়ে বাজায় সে প্রেমের নুপুর রিনিঝিনি, ঝুন ঝুন ।

চরিত্র কথা কয় !

পাওয়া যাবে ফাও অথবা সস্তায়,
এমন কথা যদি কোথাও শোনা যায় -
চিরায়ত চরিত্র প্রমাণ : আলকাতরাও নিতে রাজী –
মেখে গায়ের সাদা জামায় !


লাভ-ক্ষতির চিন্তা পরে,
বিবেকের বিচার তাও পরে !
আগে চাই নিজের অংশ,
পরে পাক, না পাক - অন্য বংশ !


ফাও চাই, সস্তায় চাই,
গায়ের জোরেও চাই !
অন্যের অধিকার বা প্রাপ্যতা
ওসবের নাই বালাই !


সব সময়, সব কাজে
আমাদের এমনই আচরন !
চরিত্র কথা কয় -
আমরা এখনও ঢের অসচেতন ।

আঠারোরা ওঠো জেগে

না, না, তা কি করে হয়
তোমার পরাজয়, আমার জয় !
না, না, তা কি করে হয়
আমার পরাজয়, তোমার জয় !


বরং, প্রাপ্যতা হোক নায্যতার ভিত্তিতে যথাযথ,
দুজনের অধিকার দুজনে স্বীকার করি সূত্রমত ।


চলার পথে নয় আগে পিছে আমাদের যাত্রা
সমান তালে কদম ফেলবো,অগ্রজ-অনুজ ভ্রাতা ।


একই লক্ষ্য হোক তোমার-আমার অন্তরে,
"সবার জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী যাবই যাব গড়ে ।


কবি সুকান্তের প্রত্যাশা পুরনের মহৎ সাধনায়,
আঠারোরা ওঠো জেগে, অগ্রজরা আছি অপেক্ষায় ।

তোমার কাছে আসি ফিরে

আবার আসি ফিরে , বারবার আসি ফিরে
বাংলার রূপের মোহে, গ্রাম-গঞ্জ, নদীর তীরে ।
বাংলার পাখির গান, বাংলার নদী কলতান-
বাংলার সুনীল আকাশ, বাংলার সুমন্দ বাতাস ।


আরও , আরও কততো –
বাংলার প্রেমের রূপমা, উপমা-
দেখালে শব্দের ঝংকারে নিত্য !


তুমি চিনালে এই বাংলার রূপ সেই ছোট কৈশরে –
কবিতার খাতায় বাংলার প্রেমের বন্ধনা অন্তরে জাগালে ।
কে জানতো ? কে বুঝতো –
পৃথিবীর রূপ বৃদ্ধাগুলি দেখানোর সাহস কে করতো ?


তাই, আবার আসি ফিরে , বারবার আসি ফিরে
জীবনানন্দের কবিতার ধানসিড়ির তীরে !
এ তরুন প্রজন্মের সব বাঙালী-
আজকে জানাই প্রিয় কবি তোমায় বিনম্র শদ্ধাঞ্জলি !


----------------------------------------
উৎসর্গ : কবি জীবনানন্দ দাশ

পোকায় ধরুক ঐ দাঁত !

কিছু মানুষের সাপের মত থাকে বিষদাঁত -
সুযোগ পেলেই অন্যকে ছোবল মেরে করে কুপোকাত !
নিজের স্বার্থের জন্য যে কাউকে করে আঘাত,
নিজের শান্তির জন্য করে অন্যের শান্তির ব্যাঘাত !


কিছু মানুষের সাপের মত থাকে বিষদাঁত -
জাগতিক মোহে সব ভুলে করে ভ্রান্ত ধারাপাত !
মানবিকতাবোধ হারিয়ে অচিরে হয় সে পশুর জাত,
সারাক্ষণ ধান্দায় থাকে করতে অবৈধভাবে বাজিমাত !


কিছু মানুষের সাপের মত থাকে বিষদাঁত -
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবার রাস্তা খোঁজে দিনরাত !
নীতির বালাই নাই চায় শুধু নিজের ভালো বরাত,
নিজেকে ভাবে জাহাপনা, বাকিরা প্রজা - পৃথিবীটি তারই প্রাসাদ !


একটু অভিমান করেই বলি - পোকায় ধরুক ঐ দাঁত,
বিশ্বজুড়ে বন্ধ হোক অসুরগুলোর বিষদাঁতের উৎপাত ।

এসো করি সন্ধি

বৃষ্টি আমায় করেছে একলা ঘরে বন্দী,
এসো, মনের সাথে মনের করি সন্ধি ।
বৃষ্টির ছন্দে হোক একটু প্রেমের গান,
হিমেল হাওয়ায় মাতুক দুষ্ট দুটি প্রাণ ।
বাদল দিনে তোমায় বিনে, সময়ঃ দু:সময়,
তোমার ছোঁয়ায় ফিরবে কেবল আমার সুসময় ।
সন্ধিটি তবে হয়েই যাক আজ দুজনে,
মেঘের বাজনা, বৃষ্টির গান, ময়ুরী নাঁচের ক্ষণে ।
সন্ধির ধারায় পাতায় পাতায় থাকবে শুধু লেখা,
ভালোবাসি তোমাকেই কেবল শর্তহীন এ কথা ।
আজীবনের জন্য তোমার মনের দ্বার দাও খুলে,
একলা মনের মুক্তি হোক- আজ বন্দী দশা ভুলে ।

লিখে দাও তোমার আকাশ আমায়

আজ নীশিতে মন উড়ছে, উড়ছে ঘুড়িরই মতন ,
লিখে দাও তোমার আকাশ আমায়- করি বিচরণ ।।


বাতাসে ভেসে ভেসে, নেঁচে নেঁচে গাইবো গান
সুর ঝংকারে তার রবে মেতে দুজনের প্রাণ ।
কভু শেষ হবে নাকো আমাদের সুখের ভ্রমন ।।


ভালোবাসার আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে হবো বিভোর,
বিরহের আঁধার কাটিয়ে, তোমায় এনে দেবো ভোর,
সে আশায় ভ্রমরের মতন করে যাবো গুঞ্জণ ।।

মনচোর কবি

মনচোরকে কেউ কি গালি দেয়না, দেয় কখনো ?
তাই ভাবছি তোমার মনের ঘরে সিঁধ কাটবো !
যত দু:খ আছে ওখানে সব নিয়ে নেবো -
আর ভুলে কিছু সুখের কবিতা রেখে আসবো !
তোমার ঘরের উচু নিচু মেঝ –
কেটে-কুটে সমতল করে দেবো বেশ !
সব মানুষকে ভালোবাসার সৌরভ ছড়িয়ে দিতে –
একটি গোলাপের চারা রোপন করে দিবো তোমার মনের ভিতে !


এখন বলো - এমন কবিকে, এমন চোরকে গালি দিবে –
হে তরুন স্বজন আমার ?
বরং, এই সময়ে তোমার মত সব তারুন্য ভরা মনে –
মনচোর কবি- সিঁধ কাটুক বারবার !

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭

ভালোবাসায় 'সমতা' বোধ

একটি ভালোবাসার গল্প শোনার আবদার - তোমার ?
আমি বলি- বরং, নয়নে নয়ন রাখো আমার !
দেখো- কতো রূপে, কতো রঙে সময় হবে মন রাঙাবার !
আর ভালোবাসার গল্গ - সে তো 'আলিফ লায়লা'র মতই প্রায়, কখনো নয় ফুরাবার !
বলো, একটি গল্প শুনবে ?
না কি নয়নে নয়ন রাখবে ?
নয়নে নয়ন রাখবে । বেশ । তবে কি আর রাখঢাক !
প্রতিটি ফুল পাপড়িতেই এক, একটি ভালোবাসার গল্প লেখা থাক !
যুগলের আলাপন মাঝে,
অচেনা, আগন্তুক এক কবি স্বপ্নে এসে বলে -
"জয় হোক ভালোবাসা । জয় হোক সমতা !
নারী-পুরুষের চলার পথে কেউ নয় করো স্বপ্ন পুরণে বাধা ।"
কবি কন্ঠ শুনে - যুগলেরা ভাবে,
সমতার বোধ যদি না থাকে ভালোবাসায় -
সত্যিই সে ভালোবাসা নানা টানা পোড়নে-
এক সময় সুখের পথ হারায় ।

তোমারই বিরহ নরক, তোমারই প্রেম স্বর্গ

তোমারই বিরহে মনটি আমার মেঘলা আকাশ,
বইছে দমকা হাওয়া, হৃদয় জুড়ে ঝড়ের পূর্বাভাস !


যদি না আসো ফিরে, আমার নীড়ে, বৃষ্টির হবো সঙ্গী,
দু চোখের জলে প্রশান্ত মনেও ঢেউ, ঢেউ ভঙ্গি !
উথাল পাথাল হৃদয় জুড়ে একলাই নরক বাস ।


তোমারই বিরহে মনটি আমার মেঘলা আকাশ,
বইছে দমকা হাওয়া, হৃদয় জুড়ে ঝড়ের পূর্বাভাস !


তোমারই প্রেমে মনটি আমার সোনালী আকাশ
স্বপ্ন মেলায়, রঙিন ভেলায়, সুখের বারো মাস !


যদি হাত ধরো, একান্তে ভালোবাসো, একটু দাও হেসে,
বিরহী মেঘ মালা ক্ষণিকে যায় দুর আজানা দেশে,
রংধনুর স্বপ্ত রঙে - রাঙিয়ে জীবন, দুজনেই স্বর্গ বাস ।


তোমারই প্রেমে মনটি আমার সোনালী আকাশ,
স্বপ্ন মেলায়, রঙিন ভেলায়, সুখের বারো মাস !

প্রেমিক মনের বিপ্লবী চেতনা

হয়তো তুমি এক পৃথিবী সৌন্দর্য্যভরা একখানা চাঁদ
আমি - তুচ্ছ ঊনমানুষ !
লোকে বলে - বারণ ।
আমি বলি - ধুর, ছাই, এসো উড়াই প্রেমের ফানুস !


জানি, জানি – 
আকাশ-পাতাল পার্থক্যের প্রেমের বহু নির্মম কাহিনী !


তবু, সাহাস কোথায় পেলাম জানো ?
প্রেমের কারণে শাস্তি পাওয়া-
মানুষের রক্তের রঙে-
যখন " লাল গোলাপ " প্রস্ফুটিত হলো !


শোনো, প্রেমিক মনের বিপ্লবী চেতনা
শুধুই ভালোবাসা বোঝে পার্থক্য বোঝেনা !


এখন বোঝ তুমি - মানুষে মানুষে ভেদাভেদ খুজবে নাকি ওড়াবে প্রেমের ফানুস
হোক না সে নানা মানদন্ডে নানা কিছু, তবুও তো মানুষ !

যৌবন : শিশির বিন্দু

ঝলমলে রোদকে ভালবেসে
শিশির যখন নিজের অস্তিত্ব হারায়,
তখন ডাকলে কাছে –
তাকে কি আর পাওয়া যায় ?


তেমনি বয়ে গেলে তিথি
যৌবন বিলাসকানন হয়ে যায় বিলীন,
বোঝনা কেন যুবক ?
এ নিয়ম শাশ্বত । ব্যতিক্রমহীন ।


শিশির বিন্দুও নেঁচেছিলো সবুজ পাতায় !
কিন্তু, কাঁহাতক ?
নবোদ্ গত যৌবনও ক্ষণিকের গান গায়,
পাঠ করে অব্যহত সময়ের ধারাপাত !


প্রাগুক্ত ! তবু বলি ফের –
যুবক বন্ধু আমার, এখনই গাও ধ্রুপদী গান,
করোনা হেলা এ উত্তম সময়ের
সত্য, সুন্দর পথের করো অনুসন্ধান ।


হৃদয়ে নীতিবোধ আঁকড়ে ধরো –
যৌবনের সময়টুকু করো সমাদর,
সুকর্ম সাধনে উন্মোচিত করো –
জীবনের সফলতার দ্বোর ।।

জোসনা রাতে আজ লীলাবিলাসে

জোসনা রাতে আজ লীলাবিলাসে-
সঁপে দিতে চাই এই মন,
ও রজনীগন্ধা তোমার লীলাকুঞ্জে -
ভালোবেসে করো আমায় নিমন্ত্রণ ।


তোমার মনের কুসুম কোণে, রাতে-
হৃদয় ভোমরার ধূপধুনা নিবেদন,
তোমার সকল সুধা বিলাও জোসনায়-
নৃত‌্যতালের আরতি করো গ্রহণ ।


জৈবিক-দৈবিক দ্বিধা ভুলে আজ-
প্রেম পিয়াসী- দুজনে প্রিয়জন,
কালের ক‌্যানভাসে সুখস্মৃতি আঁকি-
লীলাবতী, করো সমূহ সমর্পণ ।

স্বপ্ন পুরুষের আহবান

বহুদুর, দুরান্তে দুরন্ত কে যেন ডাকছে আমায়
জয়োল্লাসের অপেক্ষায়, বলছে সে -
জিরানো যাবে পরে, এসো -
সুড়ঙ্গ শেষে আশার আলোক রেখা ঐ দেখা যায় !
তাগাদা দাও,
তামাদি হয়ে যাওয়া সব আশা ফের জাগাও ।
তেজস্বী কন্ঠের আহবান অবিরত -
বিশ্বজয়ে পদযাত্রা চালাও অব্যহত ।
ডেকেই যাচ্ছে, বলেই যাচ্ছে, সে -
তুমিও হও স্বপ্ন পুরুষ - অগ্রণীর পথে ।
আমি মর্দ - ঘুমে কাতর, জড়ীভুত !
মা, মাটি, মানুষ নিয়ে নিত্যান্ত নির্লিপ্ত !
স্বপ্ন পুরুষের আহবান পৌঁছতে চায়না কর্ণকুহরে !
ভালোবাসাও জাগেনা মনের মুকুরে !
আবার হাঁক, ডাক, শুনি শুকরিয়া ধ্বনি -
আলো দেখা যায় । আলো দেখা যায় ।
এবার সঙ্গী হলাম আমি ! স্বপ্ন পুরুষের অবয়বে -
দেশের প্রেমে, মানব প্রেমে- উঠলো ফুটে হাসির ঝলকানি ।

খেলুয়া খেকশিয়াল

বড় আজব খেলুয়া খেকশিয়াল তুমি !
কুমিরের বাচ্চাগুলোকে কী সুন্দর মোহনীয় কথা বলে করলে উদরপূর্তি !


নাটমহল বিশ্বজুড়েই সাঁজিয়েছো নানা বাহারে !
সভ্যতার উৎকর্ষ নামে আগানোর পথে না হেটে-
আবার ফিরে যাও আদিম প্রহরে !


গাছের লতাপাতায় ঢাকা নারীর দেহ
দেখেছি আমি ইতিহাস বই পড়তে গিয়ে
ঐতিহাসিকরা ওটা বাঁকা চোখে দেখে বলেছেন -
তারা অসভ্য জাতি !


আমি অবাক হই -
এই যুগে, যখন দেখি -
টাই-কোট পরে নিজেকে পরিপূর্ণ আচ্ছাদন করা পুরুষের সামনে-
খেমটা নাচের নগ্ন নারী !


হায়রে কর্পোরেট পুরুষ ! মুখে বলো-
'তুমি' আমার মায়ের জাতি ।
অথচ, হৃদয়ে কলুষতা ভীষণ
গোপনে, মনে মনে করো ধারণ- কেবলই ব্যবসার প্রসারণ !


খেলুয়া খেকশিয়াল - নাট মহল সাঁজিয়েছো ভারী
আধুনিকতা ? সমতা ? সাহসিকতা ?
নাকি ভুল ব্যাখ্যায় -
নারী ও পণ্যের সঙ্গমে
করছো বাজারের প্রসার, উপযোগিতা যাচাই !


আর্থিক মোহগ্রস্থ সমাজ -
নারীকে সম্মান প্রকৃতভাবে দাও, অধিকার দাও, স্বাধীনতা দাও -
গুন এবং যোগ্যতা বিবেচনায় -
নইলে.... অপেক্ষা করো - সমাজে আসছে ভয়ঙ্কর প্রলয় !

বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

করি চন্দ্র-স্নান এসো

অবগুন্ঠন খোলো !
অবারিত জোসনা জলে শরৎ রাতে
করি চন্দ্র-স্নান, এসো ।
ছতিছন্ন কবি আজ
তোমার কোলে মাথা রাখবে অক্ষয় প্রেম সাধনায়
না করবে ? থাকতে নেই এত লাজ !
দেখো, উথাল পাথাল নদীর জলে-
জহুরা চন্দ্রবতীর দুরন্তপনা !
বদ নসিব ! এমন রাতে কি বলবে তারা
যদি না দাও সাড়া ! একটু বোঝনা !
হুট করে হেসে দিলে
এ রাতে মনে এ কেমন হানা ?
চাঁদের হাসিতেই পাগল হয়েছি
তোমার হাসিতে, বলছি, হবো ফানা !
এসো, মিলানান্ত কবিতা রচি, গাই ভালোবাসার গান,
এমন জোসনা রাতে, এমন সমীরনে- বিরহ বড্ড বেমানান !
ভালোবাসারই ক্যানভাসে নানা জ্যামিতি আঁকি- সঁপে মন-প্রাণ-দেহ !
করি চন্দ্র-স্নান, এসো ।।

টেকসই দোলাচাল বনাম বিশুদ্ধ প্রেম

জোয়ারে আসে পানি ভাটায় চলে যায় ।
"টেকসই প্রেম" এ জগতে আদৌ পাওয়া দায় !
ফুল ফুটে সুবাস বিলিয়ে অচিরেই ঝরে যায় ।
"টেকসই প্রেম" এ জগতে আদৌ পাওয়া দায় !
চাঁদ স্নিগ্ধ জোসনা ছড়িয়ে ফের ডুবে যায় ।
"টেকসই প্রেম" এ জগতে আদৌ পাওয়া দায় !
বিয়ের পূর্বে প্রেম এসবেরই মত !
কাঁচের গ্লাসকে টেকসই ভাবা যায় যত !
তবুও মনে নিয়ে আশা- মানুষ, তার হৃদয় প্রেমে ভাসায়,
ক্ষনিকের সেই সুখ-দুঃখ - এঁকে রাখে স্মৃতির পাতায়।
"টেকসই" সমীকরন উপেক্ষা করে দাম্পত্য প্রেমই বিশুদ্ধতায় ভরা,
সেই প্রেমেই - টেকসই দোলাচালহীন সফলতার স্বপ্ন যায় ধরা ।

কিশোর আলো

আমি আলো চাই, অবারিত আলো,
তুমি হও আমার সূর্যালোক !
আমার পৃথিবীর সব আঁধার
তোমার হাত ধরেই চিরতরে দূর হোক ।


আলো ছাড়া এ জগতে বাঁচতে পারে কে ?
তুমি ছাড়া আমার যাত্রাপথ বন্ধুর !
অথচ যদি থাকো সাথে –
পাড়ি দিতে পারি বাঁধা, বিপত্তির সাত সমুদ্দুর !


তুমি কিশোর, তুমি জগতের আলো –
অগ্রজ-অনুজের হাত ধরে এগিয়ে চলো!
আগামী পৃথিবীতে, আগামী পথচলায় –
আমার মত সবাই, কিশোর আলোর অপেক্ষায় ।

শাহজাদা মোস্তফা’র জন্য শোক গাথা

ক্ষমতার লড়াই- যুগে যুগে এমনই হয় ধরায়,
‘শাহজাদা মোস্তফা’ সিংহাসনের দখল না পায় !


ভালো মানুষেরা জড়িয়ে পড়ে ষড়যন্ত্রের জালে,
জীবন হয় না রক্ষা তাদের বিশ্বাসের ঢালে !
ক্ষমতার মোহে জালিমেরা অন্ধ, অনৈতিকতায় ভরা প্রাণ-
দিতে জানেনা তারা- কখনো সততা আর ন্যায়ের প্রতিদান ।
ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার মোহ সব যুগেই এমন-
ভুলে যায় কোনটি অবিচার, কে সত্যিকারের আপনজন !


আত্মকেন্দ্রিক চিন্তায় সব স্বৈর শাসক সদা ব্যস্ত রয়,
তবুও বলি – মোস্তফা’দের এক সময় হয় জয় ।


শত শত বছর পরেও ন্যায়ের সৈনিকদের নিয়ে হয় শত শত শোক গাথা,
ষড়যন্ত্র, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যোদ্ধাদের জন্য উৎসর্গ- আমার কাব্য-কথা  ।

বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জাতীয় পাখি দোয়েল

গাছে গাছে, নেঁচে নেঁচে
গায় দেশেরই গান ,
তার শিসে, তার সুরে,
জুড়িয়ে যায় প্রাণ ।


সাদা-কালো কতো ভালো
ভীষণ সুন্দর লাগে,
তারে দেখলে দেশের কথা
সবার মনে জাগে ।


শান্ত পাখি, গানের পাখি
সাহসেও ভরা বুক,
চালচলনে স্বাধীনচেতা
বাংলাদেশেই তার সুখ ।


এই পাখিটি দোয়েল পাখি
জাতীয় পাখি মোদের,
নিরুপোদ্রপতার প্রতীকও সে
প্রতীক স্বকীয়তা বোধের ।

অধিকারের অসমতার সমীকরণ কবে নিপাত যাবে

কতোটি কবিতা লেখা হলে-
বলো - জাগবে বিশ্ব মানবতা  ?
কতোটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে-
মিলবে স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা  ?


কতটুকু অধিকার বঞ্চিত হলে -
মানবাধিকারের বাণী তার পক্ষে কথা কবে ?
কোন সংজ্ঞায়, কোন নিয়মে-
সব মানুষ তার মানুষ পরিচয় ফিরে পাবে ?


বলো, বিশ্ব বিবেক বলো –
মানুষের সাথে মানুষের অধিকারের কেন ভেদাভেদ হলো ?
বলো, বিশ্ব বিবেক বলো –
অধিকারের অসমতার সমীকরণ কবে নিপাত যাবে বলো ?


জবাব তোমাকে দিতেই হবে –
কবে এই পৃথিবীতে সব মানুষ- মানুষ হবে ?

জেগে থাকি এসো

এসো,
জেগে থাকি সারা রাত
দেখবো,
একসাথে সোনালী প্রভাত ।


সব তরুন প্রাণ জাগো ।
সব যুবক প্রাণ জাগো ।


তোমারাই কেবল পারো
তাড়াতে আঁধার !
আলো আধাঁরির যুদ্ধে
আলোর বিজয় হাতের মুঠোয় তোমার !


একটু জেগে থাকো !
সারা রাত জেগে থাকো ।


সচেতন এই জেগে থাকা তোমার
বিশ্বে নিশ্চিত আনবে আলোর জোয়ার ।


এসো,
জেগে থাকি সারা রাত -
হাতে নিয়ে আলোর মশাল, চোখে অপলক ।


দেখবো,
একসাথে সোনালী প্রভাত
স্বপ্নের পৃথিবীতে- সব মূখে কাঙ্ক্ষিত হাসির ঝলক ।।

গ্রামই স্বর্গ ( সনেট )

পাখির গানে ভোর হয় গ্রাম বাংলায়
চাষী বসলে ছায়াতলে দুপুর আসে ।
বিকেল আনে কিশোররা নানা খেলায়
রাখালের বাঁশির সুরে গোধুলী ভাসে ।
কিশোরীর তই তই ডাকে সন্ধ্যা নামে
পড়ার শব্দে শিশু রাতের মোহ বাড়ায় ।
যুবকরা লোকগীতি গায় নানা কাজে
ধর্ম কর্মেই বৃদ্ধরা সময় কাটায় ।


এমন গ্রাম ছেড়ে মন চায়না থাকি
শহুরে যান্ত্রিক জিবন বেদনাময় ।
বারে বারে মনে পড়ে গ্রাম সূখময়
শহুরে দিন রাতে সে সুখ দেয় ফাঁকি ।
গ্রাম বাংলার দিন রাত আনন্দে ভরা
শহর নয়, গ্রামেই স্বর্গ সূখ ধরা ।

বাঙালির শপথ

দেশের মায়া হৃদয় জুড়ে বাঙালির বুকে,
ভালোবাসি স্বদেশ, মোরা থাকি সুখে বা দুখে ।


দেশের প্রেমে- প্রাণ দানে পাইনা কেউ ভয়
স্বপ্ন দেখি, সদা চাই - মোরা দেশেরই জয় ।


ভয় দিওনা, ভয় পাইনা - এদেশ আমার
স্বাধীনতা, পতাকা রক্ষায় মোরা দুনির্বার ।


ততদিন রবে বাংলা, যতদিন রবে ধরা,
বেঁচে থাকবে এদেশ- শপথ নিয়েছি মোরা ।

চাল নিয়ে চালবাজি

চাল নিয়ে চালবাজি
করোনা গো বাবাজি !


কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করোনা
নিয়ে মানুষের মূখের আহার,
এমনভাবে করোনা তুমি-
নীতিহীন ব্যবসার প্রসার ।


সুযোগ পেয়ে অবৈধ ভাবে
যদি করো খাদ্য মজুদ,
হিসেব তোমায় দিতে হবে
পরকালে এর নিখুত !


মন্দের প্রতিদান মন্দ, ভালোর প্রতিদান ভালো-
এমনই বলেছেন আমার মহান রব,
আমি যতটুকু জানি, জানিয়ে দিলাম-
মানা, না মানা তোমার উপরই রইল তা সব ।

মা বাবার সন্তুষ্টি করো অর্জন

তুমি সচ্ছল, তুমি সক্ষম
অথচ তোমার বৃদ্ধ মা অথবা বাবা
যদি করে ভিক্ষা ক্ষুধার তাড়নায়
ধিক, তোমায় শত ধিক ।
তোমার বৃদ্ধকালে- তোমার সন্তান
যদি একই পথ করে অনুসরণ
তোমার এমন আচরন দেখে হায়
উচিত শিক্ষা পাবেই তুমি - ঠিক ।


জানো কি, এই পৃথিবীতে যে সন্তান তার-
মা-বাবাকে করেনা যথাযথ সম্মান
দুনিয়া ও আখিরাতে পাবে সে -
সকরুণ ও অপমানজনক প্রতিদান ।


দোজাহানে যদি চাও সুন্দর জীবন
মা-বাবা'র সন্তুস্টি করো অর্জন ।
তোমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন তোমার রব
দুই ভুবনে তোমার সুখপাখি করবে কলরব ।

মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জীবনতো এমনই হয়

তোমার ডান হাতটি বাড়াও -
ঐ হাতের চারটি আঙ্গুল
আমার ডান হাতটির পাঁচটি আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরবো
হাটু ভাজ করে সবুজ ঘাসে বসে
আর বাম হাতটি তোমার আমার মাথার উপর রাখো
চুলগুলো এলোমেলো করো
বাকা নয়নে তোমার নয়নে তাকাবো, তোমার হাতের পৃষ্ঠদেশে চুমু দেবো যখন
মনের আকাশে বিজলী চমকাবে তখন হঠাৎ, হঠাৎ ।


তারপর –
দুজনে বাহুবন্ধী হবো
হাটতে হাটতে নদীর পাড়ে যাবো
গল্প, কবিতা, গানে কাটিয়ে দেবো সময়
পড়ন্ত বিকেলকে গড়িয়ে নেবো সন্ধ্যায়
ফেরার কথা বলবে যখন
হৃদয়ে হবে শুরু তোলপাড়
তীর ভাঙা ঢেউ এর মত ছলাৎ, ছলাৎ ।


এরপর রাত্রি নামে –
একাকীত্বের, বিরহের, বিচ্ছিন্নতার !
মানব জীবনতো এমনই হয়
ক্ষণিকে সুখ, ক্ষনিকে বিষাদময় ।
সময়, প্রেম বা বিরহের মত
রঙিন স্বপ্নে হয় শুরু, মলিনতায় শেষ
পরের দিন সকালে –
ঝরে পড়া শিউলী ফুল, আকস্মাৎ !

যে বৃষ্টির ফোটায় ফোটায়

এ পৃথিবীর 'পরে দিন দিন মানবের মানবপ্রীতি যাচ্ছে কমে
মানুষের জন্যই মানুষ হচ্ছে বিপদজনক, পরিনত হচ্ছে অসুরে-যমে !
উত্তর-দক্ষিন, পূর্ব-পশ্চিম সবখানে অস্ত্রের পরীক্ষা, মহড়া, প্রতিযোগিতা –
শান্তির পৃথিবী, সুখের পৃখিবী রচনায় - বুঝিনা এর কি আছে উপযোগিতা !


এমন একটি বৃষ্টি হতো যদি -
যে বৃষ্টির ফোটায় ফোটায়-
সজীবতা আনতো, উর্বরতা দিতো বাড়িয়ে
হৃদয়হীন মানুষগুলোর মনের জমিনে ,
সেথায় গড়ে উঠতো
ভালোবাসার সবুজ উদ্যান, কুসুম কানন
অন্য মানুষের কল‌্যাণ সাধনে ।
এবং যদি সে বৃষ্টির শেষে-
ভুলে যেতো সবাই-
কিভাবে মরনাস্ত্র বানাতে হয় ? কিভাবে ক্ষেপনাস্ত্র বানাতে হয় ?
বরং শুধুই ভাবতো- কী সুন্দর পৃথিবী ! কী সুন্দর মানবজাতি !
সবারই বাঁচার অধিকার আছে !  যুদ্ধ নয়, শান্তির জয় ।

এসো দেখা হবে

এসো, দেখা হবে বন্ধু-
পৃথিবীর প্রান্তরে, প্রান্তরে
মুক্তির সংগ্রামের জনপদে
জনতার অন্তরে, অন্তরে ।


একটি সুন্দর পৃথিবীর জন্য-
আয়োজিত কবিতার কুঞ্জবনে
জাতি, গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে
সব মানুষের মূখে হাসি ফোটানোর রণে ।


এসো, দেখা হবে বন্ধু-
চলার পথে, মানবিক ধ্যানে
রাজপথে, জনপথে -
"সবার উপরে মানুষ সত্য" স্লোগানে ।


কথা হবে - কেবলই, কেবলই এবং কেবলই
অহিংসা আর ভালোবাসার জয়গানে ।।

মানুষ নিয়া ভাবো মন নিরালায়

মানুষ নিয়া ভাবো মন নিরালায়
কেন তুমি জন্ম নিলে
কাকে তুমি কিবা দিলে
কে তোমারে রাখবে মনে
যেদিন তুমি রবেনা ধরায়
মানুষ নিয়া ভাবো মন নিরালায় ।।
কোন কাজে সময় দিলে
কি করলে কি মিলে
যৌবনে মাত কোন রঙে
কোন ঢঙে নেবে বিদায়
মানুষ নিয়া ভাবো মন নিরালায় ।।
মানব প্রেম করে যে রে
মানুষের মনে রয় সে রে
প্রেমের উপর নাইরে কিছু
স্রষ্টা-সৃষ্টির জগৎ মেলায়
মানুষ নিয়া ভাবো মন নিরালায় ।।

বহুবচনে খোজ সুখের পথ

আত্মকেন্দ্রিক চিন্তায় জমাট বন্ধ কপাট- যাক, খুলে যাক,
ঘরে বাইরে সবার তরে ভালোবাসায় বাজুক সব জয় ঢাক ।


কদমে কদমে চলার পথে ছন্দ তালে পদ যুগল সবার চলুক,
একটিই পৃথিবী বাসযোগ্য রাখতে সবার হাতে মশাল জ্বলুক ।


মানুষের যাতনায় যেন না কাঁদে মানুষ জগৎ মাঝে আর,
মানুষ হিসেবে করতে কি পারেনা মানুষ এতটুকু অঙ্গীকার !


‘আমি’ কেন্দ্রিক সুখ খোজার চেয়ে বহুবচনে খোজ সুখের পথ
তবেই দুখের দিন হবেই বিলীন - একসাথে চলবে সবার জয় রথ ।

একলা-দোকলা

একলা মনে উথাল পাথাল ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ,
ভেসে যাব অথৈ প্রেমে- আসবে নাকি কেউ !


কেমনে জানি মনের কথা রাষ্ট্র হলো হায়-
হঠাৎ শুনি কুসুম বনে ডাকছে কে আমায় !


গোলাপ ফোটে, হাসে ঠোটে, মূখ ঘুরিয়ে কয় –
জানোনা তুমি, তোমার-আমার সাত-জনম পরিচয় !


হাতে বেধে রাখি, হলাম সখা-সখী, সঙ্গী হলো কেউ,
এখন, দোকলা মনে উথাল পাথাল ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ !

লাল টিপ

তোমার কপালের -
ঐ বেশাখী লাল টিপ
আমার প্রেমের সূর্যোদয় ।
এসো মিলি প্রাণে-প্রাণে
আজ দুটি হৃদয়
হোক চারু-কারুময় ।।


যেন বাকী জীবন চলার বাঁকে বাঁকে
এই মন তোমার কেবলই সেই ছবি আঁকে ।

পুরুষত্ব বৃদ্ধি করুন !

আমি দেখছি আমাদের পুরুষত্ব কমে যাচ্ছে দিন দিন !
আসুন, সামাজিক এ রোগের লক্ষণগুলো জেনে নিন ।


যদি আপনার থাকে ধর্ষণকামী মন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি করেন নারী নির্যাতন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি করেন শিশু নির্যাতন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি হন তোষামুদেজন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি হন দুর্নীতিতে নিমজ্জন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি চাঁদাবাজিতে করেন উপার্জন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি মাদক ব্যবসায় করেন উপার্জন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি খাদ্যে ভেজাল করে মুনাফা করেন অর্জন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি মিথ্যাবাদী, অসৎ রাজনীতিক হন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !


সময়ের পরিবর্তনে, নৈতিক অধ:পতনে
আরো উপসর্গ হতে পারে প্রকাশ এ রোগের লক্ষণে ।


আপতত এগুলো থেকে নিজেকে বাঁচানোই সত‌্যিকারের পুরুষত্ব ।
শুভ কামনা সব পুরুষের জন্য- পুরুষত্ব বৃদ্ধি করুন ।
সামাজিক পুরুষত্বহীনতার দূরারোগ্য এ ব্যধি থেকে সবাই মুক্তি পাক,
সব পুরুষ করুক - ভালো মনের, সত্যিকার পুরুষত্বের আভিজাত‌্য ।

ভালোবাসার রঙ কি

বেদনার রঙ নীল, ভালোবাসার রঙ লাল
এমন কথাইতো জানতাম আমি এতকাল ।
হঠাৎ সেদিন ডেকে বলে আমায় পদ্ম-নীল
ভালো কি বাসোনা আমায়, ভালোবাসোনা আকাশ সুনীল ?
ভালো কি বাসোনা প্রিয়ার নীল আঁখি যুগল ?
ভালো কি বাসোনা সমুদ্রে ঢেউ খেলা নীল জল ?
আমি নিচু স্বরে বললাম - নীলকেও ভালোবাসি
শুনে কুসুমবাগে গোলাপ দিলো মুচকি হাসি !
তবে কি আমায় তুমি ভালোবাসোনা কবি?
রক্তজবা পাশ থেকে বলে তোমার হৃদয়ে নাই আমার ছবি ?
বললাম দিয়ে দুষ্ট হাসি - লালকেও  আমি ভালোবাসি !
এমন সময় ইশারা করে বলে হলুদ গাদা ফুল
আমি ছাড়া সাজে কি তোমার রাধার চুল ?


পরে গেলাম ভাবনায় আমি - আহা, ভালোবাসার রঙ কি ?
অমনি তখন সূর্যবলে - তোমার মনে যার প্রতিফলন- ভালোবাসার রঙ ও-ই !

রাখি বন্ধন

ভালোবেসে মনে প্রাণে,
তোমার হাতে দিলাম বেঁধে
চির বন্ধুতার রাখি ।
শুভ হোক পখচলা বন্ধু তোমার,
অশ্রুজলে কখনো যেন
না ভেজে ঐ দুই আঁখি ।।


বন্ধুতার আকাশে
পূর্ণিমার চাঁদে
কভু যেন লাগেনা গ্রহণ ।
শত দু:খ মাঝ
না আসে যেন সাঝ
বন্ধুতা থাকুক আজীবন ।


বন্ধুত্বের বন্ধনে
বিশ্বাস হারানো
কবিগুরু বলেছেন- "পাপ" ।
আস্থার মাঝে
হৃদয়ে হৃদয়ে
অমলিন থাকুক - বন্ধুতার ছাপ ।।

বিসিএস ফলাফল রসকাব্য (প্যারোডি)

ক্যাডার হই হই ননক্যাডারে ফালাইলা
ক্যাডার হই হই ননক্যাডারে ফালাইলা
হন হারনে ভাইভার দাম ন দিলা
হন দোষখান পায় ভাইভার দাম ন দিলা
ক্যাডার হই হই ননক্যাডারে ফালাইলা
ক্যাডার হই হই ননক্যাডারে ফালাইলা
হন হারনে ভাইভার দাম ন দিলা
হন দোষখান পায় ভাইভার দাম ন দিলা
আশাই আঁচিল ক্যাডার লয় বাইন্দুম একখান সুখেরি ঘর
আশাই আঁচিল ক্যাডার লয় বাইন্দুম একখান সুখেরি ঘর
ক্যাডার বদলে ননক্যাডারে দিলা
ক্যাডার বদলে ননক্যাডারে দিলা
হন হারনে ভাইভার দাম ন দিলা
হন দোষখান পায় ভাইভার দাম ন দিলা
চাকরির নদি……তে অইনুর টানত আরে কেন ফেলাই গেলা
চাকরির নদি………তে অইনুর টানত আরে কেন ফেলাই গেলা
এনগরি কেন ভুল বোঝিলা
হন হারনে ভাইভার দাম ন দিলা
হন দোষখান পায় ভাইভার দাম ন দিলা
ক্যাডার হই হই ননক্যাডারে ফালাইলা
ক্যাডার হই হই ননক্যাডারে ফালাইলা
হন হারনে ভাইভার দাম ন দিলা
হন দোষখান পায় ভাইভার দাম ন দিলা
ক্যাডার হই হই ননক্যাডারে ফালাইলা
ক্যাডার হই হই ননক্যাডারে ফালাইলা
হন হারনে ভাইভার দাম ন দিলা
হন দোষখান পায় ভাইভার দাম ন দিলা
হন হারনে ভাইভার দাম ন দিলা
হন দোষখান পায় ভাইভার দাম ন দিলা
হন হারনে ভাইভার দাম ন দিলা
হন দোষখান পায় ভাইভার দাম ন দিলা

ভালোবাসতেই হবে

ভালোবাসতেই হবে
যতবার ফিরিয়ে দিবে
ততবারই তোমার মনের আদালতে আপীল করবো ।
হে তরুন বন্ধু আমার –
ভালোবাসতেই হবে
"কবিতা"কে ভালোবাসতেই হবে ।


সময়ের প্রয়োজনে –
ক্ষয়িষ্ণু সমাজে
মানবিকবোধ জাগরণের শক্তি আছে কবিতার ।
সে জাগরণিয়া গানের সাথে
তোমাকে সুর ধরতেই হবে
"কবিতা"কে ভালোবাসতেই হবে ।


এখনই সময় –
কবিতাপ্রমী প্রজন্ম গড়ে তোলো
সবার জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী রচনার প্রতাশ্যায় ।
হে তরুন বন্ধু আমার-
কবিতার শক্তিকে অবহেলা নয়
মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ,নিশ্চিত করতে জনতার জয় ।

শাপলা ফুল

ওগো আমার শাপলা সোনা
কেন মুচকি তুমি হাসো
নীলের নিচে বিলের মাঝে
কেন পসরা মেলে সাঁজো ।
স্বাধীন দেশের স্বাধীন জমিন
পেয়ে মুক্ত বাতাস আলো
মনের সুখে রঙিন দেহে
এলোমেলো তাই নাচো ।
ওগো আমার শাপলা সোনা
কেন মুচকি তুমি হাসো
নীলের নিচে বিলের মাঝে
কেন পসরা মেলে সাঁজো ।
স্বাধীন চেতার স্বপন ওগো
তুমিও বুঝি সদা দেখো
জলের বুকে তাই বীরের মত
মাথা উঁচিয়ে তুমি বাঁচো ।
ওগো আমার শাপলা সোনা
কেন মুচকি তুমি হাসো
নীলের নিচে বিলের মাঝে
কেন পসরা মেলে সাঁজো ।

জোনাকী এবং জীবন

নদীর বাঁকে হোগলাপাতার বনে
আধারে বসেছে জোনাকীর হাট
নিস্তব্দ রাতে নির্জন মাঠ ঘাট-
আমি পথিক কালের নৌকায় –
চোখে দেখি এমন প্রাকৃতিক দৃশ‌্য
জীবনের মানে করি পাঠ ।


মিটি মিটি জ্বলে আর নেভে-
আলো আর আঁধার -
তবু জোনাকীরা চঞ্চল !
স্বপ্ন আর দু:স্বপ্নের খেলায় –
আশা আর নিরাশা ভরা
মানব জীবন অবিকল ।

ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও

ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও-
বানভাসি মানুষে কান্নার রোল
গগন বিদারী আহাজারি, হাহাকার
তবে কিভাবে রও - নির্বিকার ?


উবাস্তু মানুষজন আশ্রয়হীন, না খেয়ে কাটছে দিন,
রোগে-শোকে জরাগ্রস্থ, দু:খের সাগরে ভাসে, সুখ শব্দটি হয়েছে বিলীন ।
একটু সাহায্য পাবার আশায় চাতক পাখির মত তাকিয়ে রয়-
"হামাগো কেউ নাইগো" বলে বাতাস ভারী করে কেঁদে কেঁদে কয় ।


খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা - সব মৌলিক অধিকার হারা তারা আজ
এমন বিপর্যয়ে, মানবিক আবেদনে - নিরব থাকতে পারে কি - ব্যাক্তি, রাষ্ট্র, সামাজ?


যদি তুমি এসব বেদনার্ত পঙক্তিমালা শোনো –
তবে মানবিক চোখে তাকাও ।যতটুকু পারো- পাশে দাড়াও ।
অন্যজনকেও হাত বাড়াতে বলো - বানভাসি স্বজনগুলো একটু ভালো থাকুক
“মানুষের জন্য মানুষ” কথাটি তব চির সত্য হউক ।

রাত গভীর, ভাবনা গভীর

দিনের বেলায় আনন্দ মেলায়
কাটে সময় সুখের ভেলায় ।
বেশতো চলে যায় দিন - হেলায় খেলায়
বিচ্ছেদের ভাবনা আসে মনে - গোধুলী বেলায় !
এরপর যখন আঁধার নামে -
রাত গভীর, ভাবনা গভীর ।
হিসেব কষে হৃদয়, অতীত করে স্মরণ ।
জীবন-যৌবন, আয়-ব্যয় আর অতিবাহিত সময়
হলো কি সঠিক পথে সব কর্ম সম্পাদন ?
ভেবে উথাল-পাতাল হয় এই মন ।
সময় গড়ায় - চোখের পাতায় ঘুম এসে যায়
ভাবে মন - যদি ঘুম হয়ে যায় পাতাল বিছানায় !
ক্ষণিকের অতিথী তুমি-আমি
আসা-যাওয়ার নাই জানা কোন তিথী !
শেষ বিচারে সফলতা-বিফলতা কি ?
কি এই জীবনের মানে ?
ভাবো মন বসে কাজীর আসনে -
গভীর রাতে নিরলস ধ্যাণে ।

প্রেম রাধিকার ধ্যানে

গুন গুনিয়ে কইও ভ্রমর যাইয়া ফুলের কানে ।
একলা কৃষ্ণ বসে আছে প্রেম রাধিকার ধ্যানে ।।


কৃষ্ণ পাগল হইবরে আইজ যদি না পায় তারে
না জুড়াইলে মনের আগুন - বাঁচা যায় কেমনে ।


গুন গুনিয়ে কইও ভ্রমর যাইয়া ফুলের কানে ।
একলা কৃষ্ণ বসে আছে প্রেম রাধিকার ধ্যানে ।।


রাধিকা বড়ই পাষাণ, ফুল বনে রয় সারাক্ষণ
লয়না খোজ, কৃষ্ণ প্রাণ উতলা তার বিহনে ।


গুন গুনিয়ে কইও ভ্রমর যাইয়া ফুলের কানে ।
একলা কৃষ্ণ বসে আছে প্রেম রাধিকার ধ্যানে ।।


যদি থাকে মায়া মনে, রাধিকা যেন আসে গোপনে
নইলে কৃষ্ণ চইলা যাইবো দুই চোখ যায় যেখানে ।


গুন গুনিয়ে কইও ভ্রমর যাইয়া ফুলের কানে ।
একলা কৃষ্ণ বসে আছে প্রেম রাধিকার ধ্যানে ।।

তোমাকে নিয়ে

একটি গল্প লিখতে চাই
এই জীবনে তোমাকে নিয়ে
শুধু তোমাকে নিয়ে ...


একটি কবিতা পড়তে চাই
এই জীবনে তোমাকে নিয়ে
শুধু তোমাকে নিয়ে ...


একটি গান গাইতে চাই
এই জীবনে তোমাকে নিয়ে
শুধু তোমাকে নিয়ে ...


একটি ছবি আঁকতে চাই
এই জীবনে তোমাকে নিয়ে
শুধু তোমাকে নিয়ে ...


একটি স্বপ্ন দেখতে চাই
এই জীবনে তোমাকে নিয়ে
শুধু তোমাকে নিয়ে ...

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বিরহ বিলাপ

জনমেরও তরে
আগুন জ্বলে মনে
হৃদয় যায় পুড়িয়া
হৃদয় যায় পুড়িয়া...
আমার প্রেমেরও কোকিলা
গেলো গো উড়িয়া
ফিরিয়া আইলো না
ও সে আর ফিরিয়া আইলো না ।।
তাহারও বিহনে
চোখেরও জলেতে
নদী যায় বহিয়া
নদী যায় বহিয়া...
আমার প্রেমেরও কোকিলা
গেলো গো উড়িয়া
ফিরিয়া আইলো না
ও সে আর ফিরিয়া আইলো না ।।
কিসেরও লোভেতে
ছাড়িলো সে আমারে
পারিনা উঠিতে বুঝিয়া
পারিনা উঠিতে বুঝিয়া...
আমার প্রেমেরও কোকিলা
গেলো গো উড়িয়া
ফিরিয়া আইলো না
ও সে আর ফিরিয়া আইলো না ।।
মনে বন্ধু রাখিও
ভালো আজও বাসিগো
যতদিন এ দেহ রইবে বাঁচিয়া
যতদিন এ দেহ রইবে বাঁচিয়া...
আমার প্রেমেরও কোকিলা
গেলো গো উড়িয়া
ফিরিয়া আইলো না
ও সে আর ফিরিয়া আইলো না ।।

হে শরৎ তুমি এসো

শুভ্র সকালে শিশির স্নাত স্নিগ্ধ প্রাতে-
সজীবতা বাড়াতে
হে শরৎ তুমি এসো-
আমার মনের মঞ্জিরে ।


মেঘ-সুর্যের আলো-ছায়া খেলায় সে বেলায়-
নানা রঙে ছাপাতে
হে শরৎ তুমি এসো
আমার মনের মন্দিরে ।


পড়ন্ত বিকেলে কাশ ফুলের পবনে দোল খাবার কালে-  
কোমল স্পর্শ দিতে
হে শরৎ তুমি এসো
আমার মনের গহনে।


গোধুলী রাঙা সন্ধ্যায় পাখির মত আপন কুঞ্জ খোজার আবেগে-
শান্তির নিবাস দিতে
হে শরৎ তুমি এসো
আমার মনের মুকুরে।


মায়াবী রাতে জোসনায় সাদা-মেঘ আর চাঁদের খুনসুটির অথবা আধারে প্রিয়ার মুখোমুখি বসার আনন্দ আয়োজনে
প্রেম-মমতা বাড়াতে
হে শরৎ তুমি এসো
আমার মনের মায়া কাননে।

একদিন এসো স্বপনে

আমার মনেরও বান্ধব রে,
মায়ারও মানব রে
একদিন এসো স্বপনে ।
একদিন এসো স্বপনে ।


আমার পরানেরও প্রিয় রে
নয়নেরও মনি রে
একদিন এসো স্বপনে ।
একদিন এসো স্বপনে ।


আমার অন্তরেও আত্মা রে
হিয়ারও জীয়ন রে
একদিন এসো স্বপনে ।
একদিন এসো স্বপনে ।


আমার নিশ্বাসের ও বিশ্বাস রে
জীবেরও জীবনরে
একদিন এসো স্বপনে ।
একদিন এসো স্বপনে ।

পরিশীলিত প্রদীপ জ্বালাও তুমি

তাবৎ বিশ্বে চলছে তিমিরের তুফান !
কে জ্বালাবে হেথায় প্রদীপের প্রাণ ?
গহীন গহ্বরে মানবতা নানা ছলে কুপোকাত!
বিবেকহীন বিদ্রুপে ভ্রুকুটি মারে সেথা জুলমাত!
তেমন সাধক কোথায় পাব হেন জামানায় ?
পঙ্কিলে যে পদ্ম ফোটাবে মানবপ্রেম সাধনায় !
সব সাধকের 'তথাকথিত' সব বংশধরেরা চলছে ভুল পথে ছল চাতুরি রটে !
কে শুধরাবে ? কে সত্য পথের আলোর দিশা দিবে? কে আনবে তাদের সমতল তটে ?
পই পই করে তবুও কবিতার পঙতিমালায় আশা জ্বালিয়ে রাখি মজলুম সব অন্তরে !
তুমি, হ্যাঁ, তুমিও হতে পারো সেই সাধক, পরিশীলিত প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশ্বের সব বন্দরে ।

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৭

আপাদমস্তক

মাথা
ভাব কেবল
মানবতা ।
কান
শোন শোষিতের
আহবান ।
চোখ
দেখে অন্যায়
রোখ ।
হাত
ভাঙ অবিচারের
বাধ ।
পা
মানুষের কল্যাণে
ধা ।

এলো ফিরে রামজান

ওহে মুসলমান, এলো ফিরে রামজান
রহমত, মাগফিরাত আরও নাজাত
করবেন দান- আমার আল্লাহ রহমান ।
ওহে মুসলমান, এলো ফিরে রামজান ।।


সাহরী, ইফতার আর তিলাওয়াতে কোরআন
সিয়াম সাধনায় তুমি দাও মন প্রাণ
আল্লাহ নিজেই দেবেন তারই প্রতিদান ।
ওহে মুসলমান, এলো ফিরে রামজান ।।


লাইলাতুল কদর তুমি করো অন্বেষণ
তাকওয়া করো তুমি এ মাসেই অর্জন
সফল হবে দোজাহানে- বলেন আল্লাহ মহান ।
ওহে মুসলমান, এলো ফিরে রামজান ।।

কবিতার রাজপথে

সাবুদ !
ভালোবাসতে জানলে লাগেনা বারুদ !
আমার কবিতাই তাই আমার রাজপথ
গোলাপের সুবাস সেথা সাধনার প্রতিবাদ ।


কবিরা আবার অভিজাত শ্রেণীর হয় নাকি ?
কবিরা আমজনতার ।
কবির কবিতা তাই-
জনতার অধিকারের ইশতিহার ।


দ্রোহের স্লোগান
কবিদের গান ।


কবিতার রাজপথে-
শান্তির পায়রা ওড়ে,
মেলে ভালোবাসার সুর ঝংকারে সুখের সন্ধান,
কেবলই সেথায় মিছিলে  মিছিলে জনতার জয়গান ।।

বৃষ্টির দিনে রবের যিকির

রিমঝিম বৃষ্টি পড়ে
মধুর সুরে অবিরাম
সেই সুরে মন পাপিয়া
যপো রবের নাম ।
বলো-
আল্লাহু আল্লাহ ,আল্লাহু আল্লাহ ।


শান্তির এই অমীয়ধারা
যে রবেরই দান
তার নামেরই যিকির
আনে সুখের প্লাবণ ।
বলো-
আল্লাহু আল্লাহ ,আল্লাহু আল্লাহ ।


বৃষ্টি যেমন সতেজ করে
এইনা সবুজ জমিন
রবের যিকির করে তাজা
তোমার মন, হে মুমিন ।
বলো-
আল্লাহু আল্লাহ ,আল্লাহু আল্লাহ ।

উপসর্গহীন - বৃষ্টিকেই ভালোবাসি

ভালোবাসার বৃষ্টি যখন অতিবৃষ্টিতে নেয় রূপ
তার প্রতি আমার প্রেমও তখনই দেয় ডুব ।
সব মানুষের ভালোথাকা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি ।
সাবার মূখেই হাসি থাকলেই আমি প্রেম যমুনায় ভাসি ।


ঠিক উল্টো -


ভালোবাসার বৃষ্টি যখন অনাবৃষ্টিতে নেয় রূপ
তার প্রতি আমার প্রেমও তখনই হয়ে যায় চুপ ।
সব মানুষের ভালোথাকা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি ।
সাবার মূখেই হাসি থাকলেই আমি প্রেম যমুনায় ভাসি ।


সুতরাং-


অতি, অনা উপসর্গহীন - বৃষ্টিকেই ভালোবাসি ।
আমার মত সব মানুষের মুখে যে আনতে পারে স্বস্তি ভরা হাসি  ।

জলাবদ্ধতা-এই বেশ ভালো আছি !

শহুরে নদীতে অসহায় মানুষ সাঁতরে চলে যানবাহনে !
এমন দিনের কষ্টগুলো যার বোঝার সে বোঝেনা ,
যার দেখার সেও দেখেনা,
লেখা থাকে তা  শুধু জীবন পাতার  সাতকাহনে !


জলাবদ্ধতার মাঝে বদ্ধ কি থাকা যায়  -
কোন বাধা মানেনা গরীবের পেটের দায় !
ছুটতেই হবে কর্ম-কাজে নিথুয়া পাথারে
ঊচুতলার মানুষেরা হয়তো বলবে - আহা রে !
এতটুকুই বা কম কোথায় ?
যুগের পর যুগ যায়-
নিচুতলার মানুষ নিচুই থাকে হায় !
তাতে কার কি আসে যায় !!!


উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে আমরা নির্লিপ্ত থাকতে পারি ।
অন্য মানুষের দু:খ কষ্টে অনুভুতিহীন থাকতেও বেশ শিখেছি ।
স্বার্থের অর্থনীতি এখানে মানবতাকে মারে ভ্রুকুটি এই সময়ে ।
উত্তরাধুনিক জীবনে বাধ্য হয়েই আমজনতা বলে - এই বেশ ভালো আছি !

তুমি কবে আসবে ?

মন মন্দিরে তোমার আগমনি ঘন্টা বাজে ক্ষণেক্ষণে
অথচ সাঙ্গ হয়নি বিরহী চাহনি কবির দুই নয়নে ।
তুমি কবে আসবে ?
হৃদয় আনন্দ বন্যায় ভাসবে !
ক্লান্ত চোখ অপেক্ষায় তোমার, তর সইছে না !
কোটি জনতার সাথে ঐক্য গড়ে -
দক্ষিণে পবন সেও বইছে না !
পাখির গানে শুধু বিরহী তান- দু:খে, দু:খে গায় !
নদীর  ছলাৎ ছলাৎ যৌবনা কলতান সেও বন্ধ প্রায় !
তুমি কবে আসবে ?
লাগবে পরিবর্তনের ছোঁয়া –
জলে, স্থলে !
জনে-জনে, মনে-মনে
ভালোবাসার ঢেউ তুলে !
তুমি কবে আসবে ?
রাজনীতে এখন সাদা মনের মানুষ ভীষণ দরকার-
সময় হয়েছে প্রিয়- সকল অভিমান ভাঙবার !

লও হে অঞ্জলি মোর

বেদনায় শ্রাবণের জলধারা দুই নয়নে ঝরছে ,
মন মোর তোমারই শুন্যতায় অঝোরে কাঁদছে,
এই ক্ষনে এমনই হয় সবজনে- রবির অস্তে,
মনে হয় হৃদয়খানা কালো আঁধারে ঢাকছে!


২২ শে শ্রাবণই শুধু নয়, যখনই তোমারে মনে হয়,
দু:খ সায়রে মন ভাসে, কুলহারা মাঝি যেন এ হৃদয় ।
সোনার তরীতে তোমাকে নিয়েও এই আমি বড্ড অসহায়
শরীরি উপস্থিতিহীন তোমার শুন্যতা, তোমার ঋণ- মেটাবার যে নয়  !


তোমার অমর সৃষ্টিসকল পড়ি, সাথে-সাথেই তোমায় স্মরি
তোমার সান্নিধ্যহীন চিত্তখানি পায়না পুরোপুরি সুখ-হরি ।
তবু তোমার দান- বাংলা সাহিত্যের বিশ্বসম্মান দিয়েছে উজ্জ্বল করি
শতদলে, শত ফুলে- লও হে অঞ্জলি মোর, দাও হে- এ হৃদয় তুষ্ট করি !


উৎসর্গ : কবিগুরুকে ।

পুরুষত্ব বৃদ্ধি করুন !

আমি দেখছি আমাদের পুরুষত্ব কমে যাচ্ছে দিন দিন !
আসুন, সামাজিক এ রোগের লক্ষণগুলো জেনে নিন ।


যদি আপনার থাকে ধর্ষণকামী মন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি করেন নারী নির্যাতন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি করেন শিশু নির্যাতন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি হন তোষামুদেজন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি হন দুর্নীতিতে নিমজ্জন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি চাঁদাবাজিতে করেন উপার্জন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি মাদক ব্যবসায় করেন উপার্জন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি খাদ্যে ভেজাল করে মুনাফা করেন অর্জন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !
যদি আপনি মিথ্যাবাদী, অসৎ রাজনীতিক হন - এটি পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ !


সময়ের পরিবর্তনে, নৈতিক অধ:পতনে
আরো উপসর্গ হতে পারে প্রকাশ এ রোগের লক্ষণে ।


আপতত এগুলো থেকে নিজেকে বাঁচানোই সত‌্যিকারের পুরুষত্ব ।
শুভ কামনা সব পুরুষের জন্য- পুরুষত্ব বৃদ্ধি করুন ।
সামাজিক পুরুষত্বহীনতার দূরারোগ্য এ ব্যধি থেকে সবাই মুক্তি পাক,
সব পুরুষ করুক - ভালো মনের, সত্যিকার পুরুষত্বের আভিজাত‌্য ।

ভালোবাসার রঙ কি

বেদনার রঙ নীল, ভালোবাসার রঙ লাল
এমন কথাইতো জানতাম আমি এতকাল ।
হঠাৎ সেদিন ডেকে বলে আমায় পদ্ম-নীল
ভালো কি বাসোনা আমায়, ভালোবাসোনা আকাশ সুনীল ?
ভালো কি বাসোনা প্রিয়ার নীল আঁখি যুগল ?
ভালো কি বাসোনা সমুদ্রে ঢেউ খেলা নীল জল ?
আমি নিচু স্বরে বললাম - নীলকেও ভালোবাসি
শুনে কুসুমবাগে গোলাপ দিলো মুচকি হাসি !
তবে কি আমায় তুমি ভালোবাসোনা কবি?
রক্তজবা পাশ থেকে বলে তোমার হৃদয়ে নাই আমার ছবি ?
বললাম দিয়ে দুষ্ট হাসি - লালকেও  আমি ভালোবাসি !
এমন সময় ইশারা করে বলে হলুদ গাদা ফুল
আমি ছাড়া সাজে কি তোমার রাধার চুল ?


পরে গেলাম ভাবনায় আমি - আহা, ভালোবাসার রঙ কি ?
অমনি তখন সূর্যবলে - তোমার মনে যার প্রতিফলন- ভালোবাসার রঙ ও-ই !

সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

প্রেমের ক্ষেপণাস্ত্র

প্রেমের ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে পারলে মন্দ হতোনা ।
ঠিকই তোমার মনের ঠিকানায় আঘাত হানতাম ।
বিরহের প্রাসাদটুকু ভেঙ্গে প্রেমের বাগান বানাতাম ।।


বিরহ মোটেই ভালো লাগেনা !
শুধুই প্রেম চাই, চাই, চাই ।


তাই মাঝে মাঝেই মনে হয়-
পৃথিবীর সব একাকীত্বে ভোগা মানুষগুলোকে নিয়ে এক গবেষণায় নেমে পড়ি ।
প্রেমের ক্ষেপনাস্ত্র বানানোর প্রতিযোগিতা করি ।
এবং সফল হই ।


পৃথিবীর সব বিরহী আত্মাগুলো শান্তিতে থাকুক ।।

এখন ওটাই কবিতা

কোথাও কোন অনিয়ম দেখছেন
শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন, দুর্নীতি দেখছেন
যা দেখছেন
তাই লেখেন
এই ধংসস্তুপে বসে-
কবিতার ব্যাকরণ মানার কোন দরকার নাই !
এই পৃথিবীকে সুন্দর করতে-
এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে-
এই পৃথিবীকে গড়তে-
এমন কবিতা সবাই লিখুন ।
কলমের কসম-
এখন ওটাই কবিতা ।

আপাদমস্তক

মাথা
ভাব কেবল
মানবতা ।
কান
শোন শোষিতের
আহবান ।
চোখ
দেখে অন্যায়
রোখ ।
হাত
ভাঙ অবিচারের
বাধ ।
পা
মানুষের কল্যাণে
ধা ।

এলো ফিরে রামজান

ওহে মুসলমান, এলো ফিরে রামজান
রহমত, মাগফিরাত আরও নাজাত
করবেন দান- আমার আল্লাহ রহমান ।
ওহে মুসলমান, এলো ফিরে রামজান ।।


সাহরী, ইফতার আর তিলাওয়াতে কোরআন
সিয়াম সাধনায় তুমি দাও মন প্রাণ
আল্লাহ নিজেই দেবেন তারই প্রতিদান ।
ওহে মুসলমান, এলো ফিরে রামজান ।।


লাইলাতুল কদর তুমি করো অন্বেষণ
তাকওয়া করো তুমি এ মাসেই অর্জন
সফল হবে দোজাহানে- বলেন আল্লাহ মহান ।
ওহে মুসলমান, এলো ফিরে রামজান ।।

কবিতার রাজপথে

সাবুদ ! 
ভালোবাসতে জানলে লাগেনা বারুদ ! 
আমার কবিতাই তাই আমার রাজপথ 
গোলাপের সুবাস সেথা সাধনার প্রতিবাদ ।

কবিরা আবার অভিজাত শ্রেণীর হয় নাকি ?
কবিরা আমজনতার ।
কবির কবিতা তাই- 
জনতার অধিকারের ইশতিহার ।

দ্রোহের স্লোগান 
কবিদের গান ।

কবিতার রাজপথে-
শান্তির পায়রা ওড়ে,
মেলে ভালোবাসার সুর ঝংকারে সুখের সন্ধান, 
কেবলই সেথায় মিছিলে  মিছিলে জনতার জয়গান ।।

বৃষ্টির দিনে রবের যিকির

রিমঝিম বৃষ্টি পড়ে 
মধুর সুরে অবিরাম 
সেই সুরে মন পাপিয়া 
যপো রবের নাম । 
বলো-
আল্লাহু আল্লাহ ,আল্লাহু আল্লাহ ।  

শান্তির এই অমীয়ধারা 
যে রবেরই দান 
তার নামেরই যিকির 
আনে সুখের প্লাবণ ।  
বলো-
আল্লাহু আল্লাহ ,আল্লাহু আল্লাহ ।  

বৃষ্টি যেমন সতেজ করে 
এইনা সবুজ জমিন 
রবের যিকির করে তাজা
তোমার মন, হে মুমিন ।  
বলো-
আল্লাহু আল্লাহ ,আল্লাহু আল্লাহ ।

ঈদ

ঈদ এলো খুশি নিয়ে, মন আজ মাতলো
আনন্দ আলোয় বিষাদ গেলো, হৃদয় সুখে ভাসলো ।


ভুলেছে সবাই আজ ভেদাভেদ, হলো সবাই আপনজন
মানুষে মানুষ ভালোবেসে যেন স্বর্গ রচেছে এ ভুবন ।


অহমিকা দুরে ঠেলে ধনী-গরীব আজ এক কাতার
রবকে খুশি করতে- করছে সবাই হৃদয় উজার ।


সারা বছর এমন আনন্দে যেন কাটে সবার জীবন
এই আশাতে মুসলীম উম্মাহ করছে ঈদ উদযাপন ।


ঈদ মোবারক ধ্বনিতে বাজুক সদা সুখের সুরের ব্যঞ্জনা
সফল হোক মানব সকল, কেবল আল্লাহর রহমতই আজ কামনা ।

তোমাকেই চাই

হে যুবক, তোমাকেই চাই
এই জামানায় – 
জনতার কাতারে অগ্রণী ভুমিকায় ।

হে যুবক, তোমাকেই চাই
বদলাতে বরাত- 
শুরু করে দিতে মানব মনে স্বপ্নের সোনালী প্রভাত ।

হে যুবক, তোমাকেই চাই
পরিবর্তনের সাধনায় – 
নিশ্চিত করতে প্রশান্তির চিত্ত সব মানুষের- রাতের স্নিগ্ধ রূপালী জোসনায় ।

হে যুবক, তোমাকেই চাই ।
এই জামানায় ।
বদলাতে বরাত ।
পরিবর্তনের সাধনায় ।

এমনতো প্রেম হয়

তৃষ্ণার্ত চাতক উড়ন্ত বেশে পড়লো প্রেমে সাগর জলকণার
জলকণা বলে - অপেক্ষা করো আমার মেঘ বালিকা হবার ।
অত:পর প্রহর শুরু অপেক্ষায়-
চাতক ওড়ে, প্রার্থণা করে, বলে- আমি জ্বলি ক্ষতি নেই তায়!
সূর্য তুমি বাড়াও তোমার আলোক
তবুও আমার প্রেমের জলকণা দ্রুত মেঘ বালিকা হোক ।
খরতাপে জলকণা পেল মেঘবালিকার বেশ
বয়ে এসে পবন বলে চলো- দুর পাহাড়ের দেশ ।
চাতক প্রেমে মেঘ বালিকা অসহায় তাকিয়ে রয়
মনে ভাবে- নিজে হবো ক্ষয় ।
সেথায় যেয়ে বৃষ্টি হবো
চাতক যেথা রয় !
হঠাৎ করে শীতল হাওয়ার বান
মেঘ বালিকা বৃষ্টি হলো চাতক করে পান !
খুশি মনে চাতক ওড়ে,
জলকণাকে ফের মনে পড়ে,
এমন সময় কোথা থেকে ভেসে আসে দৈবিক সুরে গান-
“তোমার হল শুরু, আমার হল সারা”–শুনে চির দু:খে কাঁদে চাতকের মন প্রাণ ।

তোমাকে হারাতে চাইনা বলে

তোমাকে হারাতে চাইনা বলে –
মাঝে মাঝে আমি কুসংস্কারও মেনে চলি !!!
এই যেমন ধরো সই –
একলা শালিক দেখলে মুখ ফিরিয়ে রই ।
আবার যখন তুমি আঁচড়ে ফেলো চুল–
লুকিয়ে রাখি, অন্য পুরুষের চোখে যদি তা মনে হয় ফুল !
মাঝে মঝে আবার শাড়ি, চুড়ি জোড়ায় জোড়ায় কিনি –
একখানাতে কেউ কেউ বলে বিচ্ছেদের বিকিকিনি !
সর্বকথার শেষকথা একটাই - শোন সই ,
এই জীবনে তুমি বই আমি কিছু নই ।
তোমাকে হারাতে চাইনা বলে –
সংস্কার-কুসংস্কার মানা - না মানার বিচারে তুমি আমার তালগাছ হলেই চলে !!!

ওভাবে তাকাতে নাই

সজনী, হরিনীর মত ওভাবে তাকাতে নাই
কাজল মাখা চোখের তীরে তব খুন হয়ে যাই ।


হৃদয় হয় তোলপাড়
তাকালে ওভাবে বারবার ।


শুধু শুধু ওভাবে তাকাতে নাই
আগুন জ্বলে মনে-পুড়ে হই ছাই !


থেকে দুরে দুরে, আশেপাশে ঘুরে ঘুরে- ওভাবে তাকাতে নাই
তোমার কাছে আসতে আমি- বন্দী পাখির মত জানালা ঠুকরে পাগল হয়ে যাই ।


তবেই কেবল তাকাও-
যদি যাহুডোর মোরে বন্দী করতে হাতদুটি বাড়াও !
বিরহের নদীর পার ভেঙে গড়ে তোল সেথায়
প্রেমের সবুজ চত্ত্বর ফুলে ফুলে রঙিন ভাবনায় ।।

পুরুষ মানুষ কাদতে পারেনা

হাসি মুখে থাকতে বাধ্য হই কারণে - অকারণে,
জীবন চলার পথের ব্যাকরণে ।


অন্তরের কান্না অন্তরে লুকাতে হয়
পুরুষের চোখে জল দেখলে- লোকে কাপুরুষ কয় !


পুরুষ মানুষ কাদতে পারেনা –
নিজের দু:খেও না, অন্যের দু:খেও না ।
সমাজে কোন অন্যায় দেখলে, তার প্রতিবাদ করতে না পারলেও - না ।
মাঝে মাঝে রাষ্ট্রের বিপথে যাওযার ক্ষেত্রে, বাধা না হতে পারার ক্ষোভও- না ।
বিশ্বব্যবস্থার কোন খুত দেখে, কিছু না করতে পারার অভিমানেও - না ।


মাঝে মাঝে কাদতে ইচ্ছে করে –
দু:খে, ক্ষোভে, রাগে, অক্ষমতায়, কখনোবা সুখের তরে !


কিন্তু, পুরুষ মানুষ কাদতে পারেনা –
কখনো না, কোন কারণেই না ।

প্রেমিক কবি ও কিশোরী চাঁদ

কিশোরী চাঁদ দেখে বলি -
কবে তুই পূর্ণ জোছনায় ভেজাবি যৌবনা হয়ে ।
হেসে বলে - এত তাড়া কেন কবি ?
যৌবন এর মৌবন ফুরালেই;
অমাবস্যার আধারে লুকাতে হবে, সব কষ্ট সয়ে ।
তখন কিভাবে বিরহের আগুনে তুই পুড়বি ?
কবি বলে-ঐ কদিন তোরেই রাখবো মনে মনে
আধারে মুখোমুখি হবো। ছবি এঁকে গোপনে !
তবে কি তোর সাধনায়- কবি,
কেবলই মোর যৌবন ?
উচ্ছল তরঙ্গমালার উদ্দীপ্ত বাধ-ভাঙা ফেনারাশি ?
মোর সৌন্দর্যে ডুবে থাকা ? হাসিতে ভাসাভাসি ?
কবি, অন্তর চক্ষু খোল !
মোর রূপ নয়, বল- কবিতায় গুনের বোল !
এরপর থেকেই প্রেমিক কবি
কিশোরী চাঁদের গুনের পুজারী ।।

হুমায়ুন স্মরণে

দূর ভুবনে - বসে গোপনে, যে বীণার তারের কাঁপনে-তোলো তুমি বিরহী সুর
তারই অনুনাদের ফল- এ হৃদয়ে কাঁপন প্রবল, তোলপাড় করে মনের সাত সমুদ্দুর ।


তোমার প্রয়াণে- বাংলা সাহিত্যের সুফলা অগ্রাহায়ণে-
শুণ্যতার বিষন্ন বাতাস বহমান,
তোমার বিদায় - অপুরনীয় স্থান ।
তবে, আজও দখল করে আছো অগোচরে - কোটি মানুষের প্রাণ ।
চির অমলিন তোমার সৃষ্টি সকল ।
চির বিমলিন তোমার অবদানের ফসল ।


হে বাংলা সাহিত্যের বাদশাহ-
“প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ”…
এই আষাঢ়ের সব ভাসা পানিই –
তোমার বিরহে আমাদের উৎসর্গকৃত চোখের জল ।
যত ফুল ফুটেছে বিশ্ব মাঝারে –
সবই তা, তোমাকে জানাতে শ্রদ্ধাঞ্জলি বিমল ।

ভালোবাসা ভীষণ ক্ষমতাবান

ভালোবাসা : ভীষণ ক্ষমতাবান
সে মরুভূমি করতে পারে নিমিষেই ফুলে-ফলে শোভিত শ্যামল উদ্যান ।


ভালোবাসা : ভীষণ ক্ষমতাবান
সে শত্রুতা করতে পারে চিরস্থায়ী বন্ধুতা দিয়ে প্রতিস্থাপন ।


ভালোবাসা : ভীষণ ক্ষমতাবান
সে ঘৃণার আগুন নিভিয়ে সেথায় করে বপন হৃদ্ধতার বন্ধন আবহমান ।


ভালোবাসা : ভীষণ ক্ষমতাবান
সে ডাকাতকে করতে পারে দরবেশে রূপায়ন ।


ভালোবাসা : ভীষণ ক্ষমতাবান
সে বঞ্চিত মানবতাকে করতে পারে যথাযথ অধিকারের আলোয় বহ্নিমান  ।


ভালোবাসা : ভীষণ ক্ষমতাবান ।
ভালোবাসা : ভীষণ ক্ষমতাবান । ।

প্রজাপতি এবং গোলাপী

মুষলধারে বৃষ্টি ঝরে ভিজে গেল পাপড়ি সকল,
প্রজাপতি কি বুঝে - এ কি ধকল ?
রোদের খরতাপে বেঁচে থাকার লড়াই অবিরত,
প্রজাপতি কি বুঝে - তার কিঞ্চিত ?


দুষ্ট প্রজাপতিরা শুধু পতিই হতে চায় –
বিলাপ করে কাঁদে, গোলাপী না খুঁজে পায় কোন উপায় !


তিনটি তিনটি সন্তান - অনাহারের, অর্ধহারের জীবন
দিন আসে দিন যায়- গোলাপীর ভাগ্যের হয়না কোন পরিবর্তন ।


যৌবনে প্রজাপতি এসেছিল - এখন কোথায় করে সে  ওড়াওড়ি
কোন খোজ রাখেনা - বউ, সন্তানের - কিছু বললেই , তালাকের হুমকি আর পুরূষত্বের বাহাদুরি !


দুষ্ট প্রজাপতিরা শুধু পতিই হতে চায় –
গোলাপীদের ভাগ্য এমনই - হয় গার্মেন্টস কর্মী, নয়তো কাজের বেটি- বৃত্তবন্দী কষ্টের জামানায়!

এ নয়ন সে নয়ন খোঁজে

এ নয়ন সে নয়ন খোঁজে
যে নয়ন এ নয়ন বোঝে ।।


এ নয়ন সে নয়নে রাখে নয়ন
যে নয়ন এ নয়নের স্বপ্ন হয় চয়ন ।।


এ নয়ন সে নয়নে দেখে ছবি
যে নয়ন এ নয়নের প্রেমের রবি ।।


এ নয়নে সে নয়নে পায় সূখ
যে নয়ন এ নয়নের মুছে দেয় দু:খ ।।


এ নয়ন সে নয়নই কেবল খোঁজে
যে নয়ন সমতা'র দৃষ্টি সদা বোঝে !!

এখন বৃষ্টি

বাদল দিনে হিমেল হাওয়ায়- মন ভাসিয়ে মেঘের ভেলায় কল্পনার ডানা মেলে
গরম চায়ে পিপাসা মেটাই, আরাম কেদারায় পা নাচিয়ে –
ভাবি, স্বর্নালি জীবন সে যে এসেছি ফেলে ।


এমনও বাদল দিনে বন্দী কি আর থাকতাম- বয়েসটি হতো যদি উনিশ-কুড়ি !
কদম সাথে মিতালী হতো, হতো বৃষ্টিতে ভিজে হেথায় সেথায় কতো ঘোরাঘুরি ।
নদীর উপর ঝুলন্ত গাছের ডাল উঠে দিতাম একটা লাফ
মায়ের বকুনি ভয় ছিলোনা , ভয়ের ব্যক্তি একজনই ছিল- 'বাপ' !
চোখ এড়ানো যদি যেত তার-
সেও ছিলো বাদল দিনের আরেক উপহার !!
দুষ্ট ছেলের দল ভারি করতে ছাড়তাম হাঁক –
বের হ শালারা ! আয়, যাই, খেলার মাঠে - নদীর পাড়ের বাক ।
সবাই মিলে হৈহুল্লোর , মানতো না কোন বাধা এ মন
নানান খেলায় কাটতো বেলা, আনন্দের সুতায় সময় ছিলো বাধা সারাক্ষণ ।


এখন,বৃষ্টি এলে- জানালা দিয়ে দেখি অখবা চলার পথে, ছাতা ধরি মেলে ! মনে পাই ভয় –
যদি শরীর খারাপ হয় কিংবা যদি হয় সময়ের অপচয় !
অর্থনৈতিক ভাবনাও আছে সাথে !- এভাবেই কাটে সময় বাদল দিনে আজ
এখন বৃষ্টি: ফেলে আসা স্বার্নলী জীবনের শুধুই স্মৃতির বুদবুদ-মস্তিষ্কের মাঝ ।

বৃষ্টি ও অন্যান্য

কতো পশলা বৃষ্টি হলে- নেভে এক মুহুর্তের বিরহের আগুন !
কতোটি প্রেমের কবিতা- বর্ষাকালেও আনতে পারে মনে রঙিন ফাগুন !


বোঝে কে ? বিরহের আগুনে জ্বলন্ত বর্শা কতোটা বিধে বুকে-
যন্ত্রনার সে সময় কতো বিষাদময়, কাটে কতোটা দু:খে !


যে মা পাখি হারায়ে বাছাধন এখানে ওখানে খোজে -
তার হৃদয়ের বেদন আর কি কোন স্বজনে বোঝে ?


যে পাখি হারায়ে সঙ্গী - উড়ে উড়ে করে আহাজারি
সে গানের চেয়ে - কোন গান করে দু:খের গগন ভারি ?


যে পাখি হারিয়েছে বোন কিংবা হারিয়েছে ভাই –
তাদের সান্ত্বনা দেবার যধাযথ কোন শোককাব্য কোন সাহিত্যেও নাই !


প্রখম চরনে ফিরি !
শত শত পশলা বৃষ্টি হলেও- নেভেনা এক মুহুর্তের বিরহের আগুন !
শত শত প্রেমের কবিতাও- বর্ষাকালে আনতে পারেনা মনে রঙিন ফাগুন !
শুধুই ফিরে পেলে হারানো ধন - বিরহ কেটে আসে মিলনের মাহেন্দ্রক্ষণ ।।


অগ্রজ সুকানি

আকাশে কালো জলমুক
আর সফেন, উত্তাল জলরাশি দেখে
ভয় পেওনা সুকানি ,


হাজারো নবীন মাঝি
পেছনে তোমার একতেদায় -
জাগ-গান ধরে, নির্ভয়ে, দাও তীরে আনি ।


অধিকারহারা মানুষে সয়লাব
হাজারো এমন জলবোট বাধা তোমার জাহাজে
দেখো সমতার দুরবীণে, বিশ্ব মানবতার দুর্দিনে ,


শোষণ-নিপীড়ণের অথৈ সায়রে
তোমার জাহাজ সমতলে ভিড়বেই এ প্রত্যাশায় -
চালাও সুকানি, তীরে দাও আনি ।


হে অগ্রজ সুকানি, তুমি দায়িক ।
এড়ানোর উপায়ই নাই !
সমতল পৃথিবী রচনায় -
তুমি এক অভিযাত্রিক ।।

পাহাড়, ঝর্ণা এবং একটি লাশ

ঝর্ণা বলে - ওরে কালচে পাহাড় ,
তোর কি আছে আমার মত রূপের বাহার !

পাহাড় বলে - কোথায় পেলি তোর বুকের জল ?
জানিস কি ও যে আমারই কন্নার ফসল !

অহমিকায় ঝর্ণা হাসে, ভ্রুকুটি মেরে বলে উচ্চস্বরে –
তাই নাকি ? রুপালী চাঁদের জোসনা তোর বুকে কি খেলা করে ?
আছে কি বহতা পানির ঝুমঝুম গান তোর বাগে ?
আমার জলে শরীরটা ভিজিয়ে নেয় কত মানুষ এসে আনন্দ-অনুরাগে !

পাহাড় বলে- ওরে আত্মজা ,
নাড়ী ছেঁড়ার যন্ত্রণা সবাই বোঝেনা !

দেখোনা , বুকে পিঠে করে মানুষ করার পর – 
অকৃতজ্ঞ সন্তান বলে - বাবা-মায়ের লাশটিরও নাকি নাই তাদের দরকার !