বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

সজনী

সজনী তুমি
রজনীর প্রাণ
বাসনা মোর
হিঁয়ার ।
সাধনা তুমি
জীবনে মোর
পুজ্জো হে
শতবার ।
চাঁদনী তুমি
জোছনার ফুল
তমাচ্ছন্ন হৃদয়ে
‍মোর ।
মরুময় জীবনে
তুমি আমার
ভালোবাসার
‍দ্বোর ।

সায়াকো

তুচ্ছ হে রাজমুকুট
খুলে ফেলে আভিজাত্যের বসন
প্রেমের নব উপখ্যান রচিয়তা
অভিবাদন হে সায়াকো কুরোদা ।
হে আকিহিতো কন্যা
ছিলে তুমি জাপানের ভাবী সম্রাঞ্জী
প্রেমের জন্য তোমার সে বিসর্জন
সারা বিশ্বের জন্য উজ্জ্বল নিদর্শন ।
হে সময়ের সাহসী কন্যা
চির সবুজ অনন্ত যৌবনা
আজ থেকে তুমি বিশ্বময়
ভালোবাসার রাজকন্যা ।
হে নব প্রেমের দেবী
শুভেচ্ছা তোমায় ঘিরে থাকুক
স্বর্গীয় সুখ নেমে আসুক
তোমাদের দাম্পত্য জীবনে ।
জয় হোক ভালোবাসার
সুন্দর এ ভুবনে ।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সায়াকো: জাপান সম্রাট আকিহিতোর একমাত্র কন্যা । তিনি তার বাল্যবন্ধু একজন সাধারন জাপানি কুরোদাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন এবং রাজ পরিবারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় জানান ।

তুমি দুর্জয়া

স্বপ্নময়ী তুমি
দুরন্ত দুর্জয় এক মানবী
সদ্য প্রস্ফুটিত গোলাপ
যেন স্নিগ্ধ শিউলী ।
তুমি প্রেমময়ী
যেন অনন্ত যৌবনা ক্লিওপেট্টা
যেন সৌন্দ‍‍র্যের দেবী ভেনাস
অগ্নিঝরা রুপমা তোমার
যেন প্রিন্সেস ডায়না ।
তোমাকে তাই
একান্তই আপন মনে হয়
নিঠুর কোকিলা কন্ঠের
সুমধুর সুরঞ্জনা তুমি ।
তোমার ঐ মায়াবী
দুচোখের বাঁকা চাহনি
মনে করে দেয় জীবনান্দ দাসের
বনলতা সেনের সেই
রূপ যৌবনের কথা ।
জীবন যেখানে মোর
ধূ ধূ মরুভুমি
তুমি সেখানে বৃষ্টির ফল্গুধারা
তৃষ্ণার্ত চাতকের প্রাণ সঞ্চারী তুমি
চিরন্তন ভালোবাসার
ভাস্বর দেবী
পবিত্র প্রেমের বাঁধনী
তুমি দুর্জয়া ।

নগ্নতা !

নগ্নতাকে সবাই ভালোবাসে
কম-বেশী সবাই নগ্নতার পুজারী
মুখে যে যা বলুক !
দেবতা থেকে সাধারণ মানুষ
কেউ অপ্সরী, কেউবা নারীর অঙ্গে
খোঁজে হন্যে হয়ে দিবারাত্রি সুখ ।
কামশাস্ত্র বিদরা যাকে কামনা বলে
শিল্পীরা বলে দৃষ্টি নন্দন শিল্প
কবিরা ছন্দ খুজে পায়
মানবীদের নাঙা আদুল গায় ।
নগ্ন ভাস্কর্য, নগ্ন চিত্রকলা
তীব্র আকর্ষী মাধ্যম
তাইতো বাইবেলেও নগ্ন নারী কভারে
নগ্নতা মুগ্ধ করে সবারে ।

সাকিব জামলের গান-২

দিলের মধ্যে তোর নাম লিখে ঘুরি সর্বদায়
বন্ধু তুই ভুলিস না আমায় ।।

সূর্য ছাড়া চন্দ্র মিথ্যা
সাগর ছাড়া নদী
তুই ছাড়া আমি মিথ্যারে 
বৃথা জিন্দেগী
তুই ছাড়া বেঁচে থাকা সে যে মহাদায়
বন্ধু তুই ভুলিস না আমায় ।। 

‍দিলের মধ্যে তোর নাম লিখে ঘুরি সর্বদায়
বন্ধু তুই ভুলিস না আমায় ।।

ওরে আকাশ ছাড়া জমিন একা
ভ্রমর ছাড়া ফুল
তুই ছাড়া আমি একা রে
বৃথা দুই কুল 
তুই ছাড়া বেঁচে থাকার নাইরে উপায়
বন্ধু তুই ভুলিস না আমায় ।। 

‍দিলের মধ্যে তোর নাম লিখে ঘুরি সর্বদায়
বন্ধু তুই ভুলিস না আমায় ।।

সাকিব জামালের গান-৩

আজি বরষায়...
পাগল হলো মন
হৃদয় আমার ওগো
তোমায় খোঁজে সারাক্ষণ
মন তোমায় কাছে চায় ।।

আজি বরষায়...
মন তোমায় কাছে চায় ।।

আজি বরষায়...
নাচে ময়ুরী আজ
গুলে বাহারী সাঁজ
হৃদয়ে বিরহ বেদন
তোমাকে পাবার আশায় ।।

আজি বরষায়...
মন তোমায় কাছে চায় ।।

আজি বরষায়...
আকাশে মেঘের বাজনা
বাতাসে গানের সুর
এ মধুর লগনে
মন শুধু তোমায় চায় ।।

আজি বরষায়...
মন তোমায় কাছে চায় ।।

আজি বরষায়...
ফুটেছে কদম ফুল
গন্ধে মাতোয়ারা বকুল
দু চোখ স্বপ্নে আকুল
হারিয়ে যেতে ভালোবাসায় ।।

আজি বরষায়...
মনতোমায় কাছে চায় ।।

আজি বরষায়...
নদীতে ভরা যৌবন
মৌবনে ভোমরের গুঞ্জণ
হিঁয়ার মাঝে ভিরু কাঁপন
ভালোবেসে তাই ডাকি তোমায় ।।

আজি বরষায়...
মন তোমায় কাছে চায় ।।

আজি বরষায়...
পাগল হলো মন
হৃদয় আমার ওগো
তোমায় খোঁজে সারাক্ষণ
মন তোমায় কাছে চায় ।।

আজি বরষায়...
মন তোমায় কাছে চায় ।।

সাকিব জামালের গান-৪

বাজা ভাই বাজারে ঢোল
বাংলা গান, বাংলা বোল্
তাক দুম তাক দুম
তাক দুম তাক দুম ।।

বৈশাখের আজ প্রথম দিনে
মিলে‍মিশে নেচে গেয়ে
গলা ছেড়ে গা সবাই
বাংলা গান, বাংলা বোল্ ।।

বাজা ভাই বাজারে ঢোল
বাংলা গান, বাংলা বোল্
তাক দুম তাক দুম
তাক দুম তাক দুম ।।

আজি হিঁয়ায় নাচন ওঠেরে
রক্তে কাঁপন জাগেরে
বাংলাদেশের সব বাঙালী
বাংলায় বাংলা রব তোল্ ।।

বাজা ভাই বাজারে ঢোল
বাংলা গান, বাংলা বোল্
তাক দুম তাক দুম
তাক দুম তাক দুম ।।

আজি কাল‍বৈশাখী ঝরের মত
জঞ্জাল, পাপ, কালিমা যত
উড়িয়ে দিয়ে, জড়িয়ে ধর
বাংলা মায়ের কোল্ ।।

বাজা ভাই বাজারে ঢোল
বাংলা গান, বাংলা বোল্
তাক দুম তাক দুম
তাক দুম তাক দুম ।।

‍ফের দেখা

কতোদিন পরে দেখা হায়
মনে কি রেখেছ আমায় ?
মনে কি রেখেছ হায়
বিকেলের সেই আড্ডায়
কতোই ঘনিষ্ঠ ছিলাম আমরা
এইতো সেই টিএসসি, ঐতো রমনা ।
মনে কি রেখেছ তুমি
ডাচে, নীলক্ষেতে, নিউমার্কেটে
সেই অনার্থক ঘোরাঘুরি
ক্লাস ফাঁকি, আরও কত কি!
এই মনে কি রেখেছ আমাকে
যদিও প্রতি মুহুর্তে মিস(miss) ক‍রছি তোমাকে
ফিল(feel) করছি তোমার সুহাস্য বদন
এখন মিসকলেও কেন করোনা স্মরন ?
কতোদিন পরে দেখা তাইনা
ফের দেখা, অতীত স্মৃতি
মধু, কার্জন, কলাভবন
কতো প্রেম, কতো ভালোবাসা, কতো প্রীতি ।
এই তুমি কিছু বলোনা
কতোদিন পরে দেখা তাইনা !
শুধুই কি বকব আমি আজ
অস্ত যাবে রবি, ঘনিয়ে এলো যে সাঁঝ
কিছুক্ষণ পরেই তো চলে যাবে
কখনো কি এমনি আবারও দেখা হবে
ফের দেখার এই স্মৃতি কিগো
জীবনের বাকী সময়ে মনে রবে ?‍

প্রত্যাশা

অফুরন্ত প্রেম চাই
অবিরাম তোমার সঙ্গ চাই
মায়াবী রাতে, শরৎ জোসনায়
রূপকথার গল্প হোক
হারিয়ে দুজনে দুজনায় ।
নতুন নতুন স্বপ্ন চাই
তোমার প্রিয় স্পর্শ চাই
চন্দ্রবতী তোমার আলোকছটায়
ভালোবাসার জয়গান হোক
আমার জীবনের সাধনায় ।
মধুময় ক্লান্তিহীন মিলন চাই
আমরন তোমায় কাছে চাই
হৃদপিন্ডের প্রতি কম্পনে
তোমার নাম স্পন্দন হোক
তুমি রক্ত স্রোতধারা মোর শিরায়-উপশিরায় । 
সর্বপরি তোমাকে চাই
তোমার ভালোবাসা চাই
দুজনে একাকার হবার
দৃপ্ত প্রতিশ্রুতি হোক
চিরসাথী হবার প্রত্যাশায় ।

প্রেমাঞ্জলী

মনমন্দিরে তোমার
স্থান হোক মোর 
ভালোবেসে ভালোবেসে 
এনেছি ‍প্রেমাঞ্জলী
সপিঁতে তোমায় আমি
নিত্যান্ত একান্তে ।
নাও তুমি প্রিয়তমা
মোর আবেগে কুড়ানো
এ প্রেমের ফুল
ক্ষমা করে নন্দিনী
মোর প্রেম জীবনে
যতসব করেছি ভুল ।

সাকিব জামালের গান-৫

ভোমর কবে আমার কথা তোমার কানে কানে
দয়া করে যেও সখী ফুলের বাগানে ।।

লাল ফিতায় চুল বাঁধিও গোলাপ যেমন সাঁজে
আলতা দিও দু পায়েতে, টিপ দিও কপাল মাঝে 
ভালোবাসার কথা হবে তবে তোমার সনে ।

ভোমর কবে আমার কথা তোমার কানে কানে
দয়া করে যেও সখী ফুলের বাগানে ।। 

স্বপন দেখি যখন রাতে কথা বলি নিজের সাথে
আমার মনের কথা মনে থাকে লাজে শরমে
একা আমি জ্বলে মরি তোমার বিহনে ।

ভোমর কবে আমার কথা তোমার কানে কানে
দয়া করে যেও সখী ফুলের বাগানে ।।

জানি আমি ভোমর করবে ভুল ভেবে তোমায় ফুল
গুন গুনিয়ে কবে সে মনের কথা মোর হয়ে ব্যাকুল
শুনে তুমি বাসবে ভালো আমায় মনে প্রাণে ।

ভোমর কবে আমার কথা তোমার কানে কানে
দয়া করে যেও সখী ফুলের বাগানে ।।

‍নি:সঙ্গতার অবসান


চাদনী রাত
পরিপূর্ণ জোছনা
আমি আর তুমি
বসে আছি
নির্জন নদীর তীরে ।
অদূরে কাশফুল
যেন সাদা বসনে 
প্রেমের দেবী
দেখতে দেখতে
মাথা রাখ
আমার কোলে তুমি ।
আমি হাত বুলিয়ে দেই
তোমার এলোকেশে
তুমি বাঁকা নয়নে
আমার দিকে তাকিয়ে
কুটি কুটি হেসে ।
আমি গল্প বলি
প্রেমের গল্প
ভালোবাসার গল্প
শুনে রোমাঞ্চিত তুমি ।
নদীর কলকল তান
পাখিদের মিলনের গান
তোমার আমার অন্তরঙ্গতা
নি:সঙ্গতার হলো অবসান ।

বর্ষায় দেবী বরন

আকাশ ছেয়ে মেঘ আর বরষা এলো যে ধরিয়া
এমনি মধুর লগনে এ কোন দেবী এলো মোর ঘরে
ক্ষমা চাহি, নাই যে মোর কিছু- বলি তোমার তরে
কি দিয়া নেব আমি ওগো তোমায় বরিয়া !
এই দেখ দেবী কদম এনেছি, এনেছি ফো‍টে ফুল বরষায় যত
মেঘের কাছে অঝোর বৃষ্টি চেয়েছি, চেয়েছি সারা রাত সে সুর
হৃদয়ে অফুরন্ত ভালোবাসা এনেছি, হারিয়ে যেতে বহুদুর
এসো তবে মোর কাছে- এক হই আমি, তুমি আর বর্ষা - রবে দুরে আর কত ?

গাঁয়ের বালিকা

আঁকা-বাকা মেঠো পথে
লাল শাড়ি পড়িয়া
কে যায় গো হেলেদুলে
হিঁয়ায় নাচন তুলিয়া ।
নুপুর বাজে তার রুন ঝুনঝুন
হৃদয় মোর হলো যে খুন
উদাসী মন মোর পাগল হলো
পেতে কাছে গাঁয়ের সে বালিকা ।
রিনিঝিনি কাঁকনে সুর তার
ছন্দ তোলে হে মনে বারবার
রূপের বাহারে ব্যাকুল হৃদয়
নিতে হবে যে তারে বরিয়া ।
এলোমেলো তার কালোকেশে হায়
বায়ু যে নিত্য দোল খেলে যায়
মন বড় চায় চুলে হাত দিয়ে
আদর করি বসে নিরালায় ।
লাজে ভরা তার হাসিমাখা মুখে
মাদকতাপূর্ণ নেশাভরা চোখে
প্রেমের ভুবনে কেটে যায় রেশ
উদাসী করিল সে আমাকে বেশ ।

কাঙ্ক্ষিত মানবী

অনিন্দ্য সুন্দরী তুমি
কাঙ্ক্ষিত রূপসী
অপরূপা হে তুমি
নন্দিত মানসী ।
উপমাহীনা যৌবনা তুমি
অন্য নারীর হিংসে
তোমার কথার সুর বাজে
শত পুরুষের বংশে ।
মোর কল্পনার মানবী তুমি
পবিত্র প্রেমের মুর্তি
শাশ্বত শতদল তুমি
গাই যে তোমার স্তুতি ।
হে সুন্দরী প্রিয়তমা
স্বপ্নময়ী অবয়ব
কলঙ্কহীন প্রতিকৃতি
কাঙ্ক্ষিত মানবী ।

তখন, এখন, যখন

একাকীত্ব নিয়ে বহু থেকেছি
হতাশায়, বিসন্নতায় অনেক ভুগেছি
রঙিন স্বপ্নগুলো ধুসর হয়ে যেত
বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করতো না
তখন তুমি ছিলে না ।
এখন তুমি আছো
তাই ভালো আছি
জীবনও চলছে স্বাভাবিক
মন-প্রাণ তাও স্বাপ্নিক 
সুখের সংঞ্জা খুজে পেয়েছি ।
যখন তুমি থাকবেনা
আমি কি করে থাকব
এ পৃথিবীর 'পরে
উড়ে যাব গোধুলী বেলার ধুলির ন্যায়
কোন এক হৃদয় বিদারক ঝড়ে ।

প্রথম প্রণয়

হে সুন্দরী মম
যবে দেখেছি তোমায়
প্রথম ‍সে পরিচয়
মোর প্রথম প্রণয় । 
তোমার যুগল ভ্রুলতা
কালো পল্লবে নয়ন নিলীমা
স্নিগ্ধ গোলা‍পের পাপড়ির মত
সিক্ত হাসি মাখা দুটি ঠোট
আর লম্বা কালো চুলের বাহার
কি অপূর্ব সৌন্দর্য তোমার !
নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারনি
পারনি লুকাতে তোমার সৌন্দর্য
চন্দ্রলোকের মত হয়েছে বিকশিত
মোর হৃদয়ের স্বপ্নকুঞ্জে ।
তোমার কথার মাধুর্য
বিমোহিত করেছে মোরে
অবিভুত হৃদয় তব
পড়েছে তোমার প্রণয়ে ।
হে সুন্দরী মম
হোক প্রেম মোদের সমুদ্রসম
নাহি হোক শেষ দিগন্তের ন্যায়
একটি মিনতি শুধুই তোমায়
মোর জীব‍নের এ প্রথম প্রণয়
যেন গো হয় প্রথম পরিনয় ।